দামেস্কে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, দাবি সিরিয়ার
সিরিয়ার ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল—এমন দাবি করেছে সিরিয়ার সেনাবাহিনী। বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে তারা। সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলেসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।
সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, স্থানীয় সময় গতকাল রোববার সন্ধ্যায় গোলান মালভূমি থেকে দামেস্ক এলাকা লক্ষ্য করে ইসরায়েল একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে।
সিরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে, ‘ইসরায়েল-অধিকৃত গোলান মালভূমি থেকে দামেস্কে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। সিরিয়ার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম বা ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থা বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্রই ধ্বংস করতে পেরেছে। কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই।’
ডয়চে ভেলের খবরে বলা হয়েছে, ২০১১ সালের গৃহযুদ্ধের পর থেকে সিরিয়ায় ইরানপন্থি ও হিজবুল্লাহদের লক্ষ্য করে একাধিক আক্রমণ চালিয়েছে ইসরায়েল। এ ছাড়া কয়েকদিন আগে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়া-ইরাক সীমান্তে ইরানপন্থি মিলিশিয়ার ওপর আক্রমণ চালিয়েছিল।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক ‘সিরিয়ান অবজারভেটারি ফর হিউম্যান রাইটস’ জানিয়েছে, গতকাল রোববার দামেস্কের দক্ষিণে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এই এলাকায় ইরানের রেভুল্যুশনারি গার্ড ও হিজবুল্লাহদের ঘাঁটি।
হামলার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র এ নিয়ে কোনও কথা বলতে চাননি বলে ডয়চে ভেলে জানিয়েছে।
তবে, ইসরায়েলের সরকারি সংস্থা কান জানিয়েছে, সেখানকার সেনা কর্মকর্তারা গতকাল রোববার সন্ধ্যায় আলোচনায় বসেছিলেন। তাঁরা গালফ অব ওমানে ইসরায়েলের একটি জাহাজে ইরানের আক্রমণ নিয়ে আলোচনা করেন। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁদের পণ্যবাহী জাহাজে ইরানই আক্রমণ করেছিল বলে তাঁর বিশ্বাস। তিনি আরও জানান, সিরিয়ায় ইরানের দখলদারি ঠেকাতে ইসরায়েল এখন প্রায় প্রতি সপ্তাহেই হানা দিচ্ছে।
ইসরায়েল দাবি করে আসছে, ইরানের বাহিনীর সিরিয়ায় থাকার কোনও অধিকার নেই। ইরান যাতে সেখানে কোনো প্রভাব বিস্তার করতে না পারে, সে জন্য ইসরায়েল সক্রিয়।
অন্যদিকে, একাধিক পশ্চিমা গোয়েন্দা সূত্র বলছে, ইরানের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে ইসরায়েল।