ইসরায়েলি হামলায় গাজায় শিশুসহ নিহত অন্তত ২১
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানোর কয়েক ঘণ্টা পর ইসরায়েলি হামলায় শিশুসহ অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) নুসিরাত শরণার্থী শিবির ও গাজা নগরীর কাছে দুটি বাড়ি লক্ষ্য করে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান এ হামলা চালায়। খবর এএফপির।
মাহমুদ বাসাল এএফপিকে বলেন, নুসিরাতের কাছে বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয় নেওয়া একটি ভবনে ইসরায়েলি বোমা হামলায় কমপক্ষে ছয় শিশুসহ ১৫ জন নিহত ও ১৭ জনেরও বেশি আহত হয়। গাজা নগরীর একটি অ্যাপার্টমেন্টে হামলায় নিহত ছয়জনের মরদেহ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের আক্রমণ যুদ্ধের সূত্রপাত হওয়ার পর থেকে ১৪ মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ কয়েক হাজার লোককে হত্যা করেছে ও উপকূলীয় অঞ্চলকে ধ্বংস করেছে।
সহিংসতা শেষ করার সর্বশেষ কূটনৈতিক প্রচেষ্টায়, বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অবিলম্বে একটি নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
মেনে চলা বাধ্যতামূলক নয় এমন রেজুলেশনটি ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর প্রধান সমর্থক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাখ্যান করে। তবে, সাম্প্রতিক দিনগুলোয়, কয়েক মাস ব্যর্থ যুদ্ধবিরতি আলোচনা পুনরুজ্জীবিত হতে পারে ও একটি অগ্রগতি অর্জনের লক্ষণ দেখা গেছে।
গাজায় রয়ে যাওয়া ৯৬ জিম্মির পরিবারসহ ৩৪ জন ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী মৃত বলে দাবি করছে তাদের মুক্তির জন্য চাপ দিচ্ছে।
সরকারি পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে এএফপির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলায় এক হাজার ২০৮ জন নিহত ও ২৫১ জনকে অপহরণ করে জিম্মি করা হয়। যাদের বেশিরভাগই ছিল বেসামরিক নাগরিক। এই গণনায় গাজায় আটক থাকা অবস্থায় মারা যাওয়া বা নিহত হওয়া জিম্মি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
জাতিসংঘের নির্ভরযোগ্য বিবেচিত ও ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ইসরায়েলের আক্রমণে গাজায় কমপক্ষে ৪৪ হাজার ৮০৫ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।