দায়েশ, আল-কায়েদাও আফগানিস্তানে শক্তিশালী হচ্ছে : জাতিসংঘ
আফগানিস্তানের অনেক স্থানে দায়েশ ও আল-কায়েদার মতো সন্ত্রাসী দলগুলোর হুমকি বাড়ছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলছে, শান্তি প্রক্রিয়া ঘিরে অনিশ্চয়তা এবং পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটার ঝুঁকির সঙ্গে আফগানিস্তানে নিরাপত্তা পরিস্থিতি এখনও ভঙ্গুর। সম্প্রতি প্রকাশিত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক প্রতিবেদনে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএনআই এ খবর জানিয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, কুনার এবং নানগরহার প্রদেশগুলোয় গত বছর আঞ্চলিক নেতৃত্ব, জনবল ও আর্থিক ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও আইএসআইএল-কে অথবা দায়েশের খোরাসান শাখা আফগানিস্তানের অন্যান্য প্রদেশে স্থানান্তরিত হয়েছে। এসব প্রদেশের মধ্যে নুরিস্তান, বাঘিস, সার-ই-পুল, বাঘলান, বাদাখসান, কুন্দুজ ও কাবুল উল্লেখযোগ্য। সেখানে তাদের যোদ্ধারা ‘স্লিপার সেল’ গঠন করেছে বলে টুলো নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সন্ত্রাসীদলটি কাবুলের ভেতর ও এর চারপাশে তাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করছে। আর এ জায়গাটিতেই দলটি সবচেয়ে বেশি হামলা করে থাকে। সংখ্যালঘু, অ্যাক্টিভিস্ট, সরকারি কর্মী এবং আফগানিস্তানের জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে এসব হামলা আক্রমণ চালানো হয়। দায়েশ গত আট জুনের নারকীয় হামলার দায় স্বীকার করেছে। বাঘলান প্রদেশে ওই হামলায় হ্যালো ট্রাস্টে কর্মরত ১০ জন মানবাধিকার কর্মী নিহত এবং আরও ১৬ জন আহত হন।
টুলো নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুনরুত্থানের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সদস্য নিয়োগ এবং নতুন সমর্থনকারীদের প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিচ্ছে আইএসআইএল-কে। যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানদের মধ্যে শান্তি চুক্তি প্রত্যাখান করছে এমন তালেবান সদস্য ও অন্যান্য জঙ্গিদের নিজেদের দলে ভিড়ানোর চেষ্টা করছে আইএসআইএল-কের নেতারা। পাশাপাশি সিরিয়া, ইরাক ও অন্যান্য বিবাদমান অঞ্চলগুলো থেকে যোদ্ধা নিয়োগ করছে তারা।
দায়েশের খোরাসান শাখা কীভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠছে, তার একটি হিসাব তুলে ধরা হয়েছে জাতিসংঘের প্রতিবেদনটিতে। মধ্যবর্তী সময়ের মধ্যেই ১০ হাজার পর্যন্ত সদস্য জোগাড় করেছে দায়েশ। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আইএসের নেতা শাহাব আল-মোজাহির ওরফে সানাউল্লাহ আল সাদিক কার্যালয়ের প্রধান শেখ তামিমকে সহযোগিতা করছে।’
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, দায়েশের মূল দলটির খোরাসান শাখার পাশাপাশি বিস্তৃত অঞ্চলে নেটওয়ার্ক পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে শেখ তামিম।