‘নিষ্ঠুর প্রতিশোধ নেওয়া হবে, সময় ও স্থান ইরান ঠিক করবে’
ইরানের শীর্ষ জেনারেলদের একজনকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের দূত মজিদ তাখত রাভানচি। ইরান এই হত্যাকাণ্ডের ‘নিষ্ঠুর বদলা’ নেবে বলেও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের দূত।
মজিদ তাখত রাভানচি বলেন, ‘গত রাতে যা হয়েছে, তার পর আমরা চোখ বন্ধ করে বসে থাকতে পারি না। অবশ্যই প্রতিশোধ নেওয়া হবে। নিষ্ঠুর প্রতিশোধ নেওয়া হবে... কবে, কখন, কোথায়, সেটি ইরান ঠিক করবে।’
জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের এই দূত আরো বলেন, ‘সামরিক হামলার জবাব সামরিক হামলার মাধ্যমেই দিতে হয়। কে হামলা করবে, কখন হামলা হবে, কোথায় হামলা হবে, তা সবাই দেখতে পাবে।’
এরই মধ্যে ইরানের পাল্টা হামলা মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে তিন হাজার সেনা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত মার্কিন কূটনীতিকদের কর্মস্থল ত্যাগ করতে প্রস্তুত থাকতে ব্যাগপত্র গুছিয়ে রাখার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে শুক্রবার ভোরে মার্কিন বিমান হামলায় জেনারেল সোলেইমানি ও হাশদ আশ-শাবির সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবু মাহদি আল-মুহাদিস নিহত হন।
ইরানের জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা করার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে ভয়াবহ যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদিল আবদুল-মাহদি।
এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস মার্কিন হামলায় ইরানের কুদস ব্রিগেডের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেইমানি নিহত হওয়ার ঘটনায় সব পক্ষকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে তিনি জেনারেল সোলেইমানির হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাননি। জাতিসংঘের মহাসচিব গতকাল শুক্রবার এক বক্তব্যে আরো বলেছেন, বিশ্ববাসীর পক্ষে পারস্য উপসাগরে আরেকটি যুদ্ধ সহ্য করা সম্ভব নয়।