পপি চাষের বৈধতার কথা ভাবছে তালেবান?
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/10/09/affghanistan.jpg)
গত আগস্টে তালেবান রাজধানী কাবুল দখলের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর পপি চাষ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু, চলতি অক্টোবরে এসে তালেবান নেতারা ইঙ্গিত দিচ্ছেন—তাঁরা পপি চাষের বৈধতা দেওয়ার কথা ভাবছেন। বার্তা সংস্থা এএনআই’র বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর জানিয়েছে।
দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের মোট হেরোইনের ৯০ শতাংশের যোগান দেয় আফগানিস্তান। তালেবানের অধীনে দেশটিতে হেরোইন তৈরির কাঁচামাল পপির চাষ আরও বাড়তে পারে। পপির বীজ থেকে আফিম হয়, আর আফিমকে হেরোইনে রূপান্তর করা হয়।
আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাদক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক উপমন্ত্রী হাজি আবদুল হক আখন্দ হামকার ইঙ্গিত দিয়েছেন—পপি চাষকে এখনও কৃষিকাজ বিবেচনায় বৈধকরণের সুযোগ রয়েছে। এতে আফগান জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
হামকার বলেন, ‘আমরা হয় এটাকে নিষিদ্ধ করব, অথবা এটাকে বৈধ করব। যদি নিষিদ্ধ করা হয়, তাহলে বিকল্প রাখা হবে। তবে, এখনও আমরা সর্বোচ্চ উপযোগী পন্থা খুঁজছি।’
তালেবান নেতৃত্বের কেউ কেউ মনে করেন—পপি চাষকে বৈধতা দেওয়া গেলে, তা যুদ্ধ-বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সহায়ক হবে। বিশেষ করে, অস্ট্রেলিয়া ও তুরস্কের মতো আফগানিস্তানেও পপির মতো মাদক দিয়ে ব্যথানাশক তৈরি করা যায় কি না, তা নিয়েও ভাবছেন তাঁরা। যদি তা সম্ভব হয়, তাহলে দেশটিতে পপি চাষকে বৈধতা দেওয়া হতে পারে।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2021/10/09/affghanistan-inside.jpg 687w)
এ প্রসঙ্গে আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশের তথ্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক পরিচালক মৌলভি নূর আহমদ সাইদ বলেন, ‘যদি এমন কিছু সম্ভব হয়, তাহলে এটিকে (পপির চাষ) বৈধ করার জন্য কাজ করা ভালো। এটি দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করতে সাহায্য করবে এবং এজন্য আমাদের খুব বেশি চেষ্টা করতে হবে না। কারণ, এরই মধ্যে এটি দেশব্যাপী ব্যাপকভাবে চাষ করা হচ্ছে।’
দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের শীর্ষ অবৈধ মাদক উৎপাদনকারী দেশগুলোর অন্যতম হলো আফগানিস্তান। পপি চাষ এবং মাদক পাচার দেশটির দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলে তালেবানের আয়ের বড় উৎস।