পাপুয়া নিউ গিনিতে জেল ভেঙে পালানোর সময় গুলিতে ১১ বন্দি নিহত
পাপুয়া নিউ গিনির (পিএনজি) দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লায়ে জেল ভেঙে পালানোর সময় গুলিতে ১১ বন্দি নিহত হয়েছে এবং পলাতক রয়েছে ৩৩ জন।
সোমবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম পোস্ট কুরিয়ার জানিয়েছে, কারা কর্তৃপক্ষ একজন বন্দিকে পুনরায় আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
পিএনজির সার্ভিস কমিশনার স্টিফেন পোকানিসর বরাত দিয়ে সিনহুয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুর ১টা ২০ মিনিট থেকে দুপুর দেড়টার মধ্যে লা’র বুইমো কারাগারে এ ঘটনা ঘটে।
জেল ভেঙে পালানোর সঙ্গে জড়িত ৪৫ জন বন্দির মধ্যে ১০ জনকে একটি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল এবং ৩৫ জন বিচারের অপেক্ষায় রিমান্ডে ছিলেন বলে জানা গেছে।
রিমান্ডে থাকা ব্যক্তিরা মামলার শুনানিতে দীর্ঘ বিলম্বের বিষয়ে অভিযোগ করে আসছিলেন বলে কারা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার কথা জানান পোকানিস। তিনি বলেন, ‘বন্দিরা তাদের উদ্বেগের কথা জানানোর পর এ বিষয়টি তাদের কাছে ব্যাখ্যা করেছিলেন জেলের কমান্ডার। তিনি বন্দিদের বুঝিয়ে বলেছিলেন যে, করোনাভাইরাসের কারণে আদালতে শুনানি সীমিত ছিল, কিন্তু ওই বন্দিরা তাঁর ব্যাখ্যা গ্রহণ করেননি।’
এর পরিবর্তে তারা শুক্রবার বিকেলে কারাগারের গেটে জড়ো হয় এবং তাদের মধ্যে একজন বন্দি অসুস্থ উল্লেখ করে তার চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানায় এবং তাকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানান।
পোকানিস আরো জানান, অসুস্থ বন্দিকে বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁরা একসঙ্গে গেটের দিকে ছুটে যান এবং কম্পাউন্ডের বাইরের গেটে যাওয়ার আগে ডিউটি অফিসারকে রান্নাঘরের ছুরি দিয়ে আক্রমণ করেন।
তবে কিছু কর্মকর্তার সন্দেহ, কোভিড-১৯-এর আশংকায় এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। কারণ কারাগারে একজন ওয়ার্ডেন আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
তবে জেল ভাঙার আসল কারণ এখনো জানা যায়নি এবং এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। এদিকে পালিয়ে থাকা ৩৩ জনের সন্ধান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।