প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবারও কট্টর ডানপন্থি নেতানিয়াহুর শপথ
ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচাইতে রক্ষণশীল এবং কট্টর ডানপন্থি সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশটির পার্লামেন্টে শপথ নিয়েছেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
ইসরায়েলের পার্লামেন্টে (নেসেট) আস্থা ভোটে জয়ের পর ৭৩ বছর বয়সী নেতানিয়াহু আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। ১২০ সদস্যের নেসেটে নেতানিয়াহুর নতুন সরকারের পক্ষে ভোট দেন ৬৩ জন আর তার বিরুদ্ধে ভোট দেন ৫৪ জন। তার শপথ গ্রহণের মাধ্যমে নতুন করে ক্ষমতায় আসা ও সরকার গঠন নিয়ে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ভয়, ভয়ে আছেন বামপন্থি ইসরায়েলিরাও।
পশ্চিম জেরুজালেম থেকে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিনিধি সারা খয়রাত জানান, মাত্র দুই মাসের মধ্যে কট্টরপন্থি ও ডানপন্থিদের সমন্বয়ে কোয়ালিশন সরকার গঠন করা বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর জন্য একটি বড় বিজয়।
খয়রাত বলেন, ‘কোয়ালিশনে এমন অনেক ডানপন্থি রাজনীতিক আছেন, যারা এতোদিন ছিলেন রাজনীতির প্রান্তে, কিন্তু এখন তারাই চলে এসেছেন মূল মঞ্চে।’
খয়রাত আরও বলেন, ‘স্থানীয় লোকজনও বিষয়টিকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বললেও তারা আইন-কানুনের বিষয়ে গভীর শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।’ তিনি জানান, নতুন সরকারের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টের বাইরে বিক্ষোভ প্রকাশ করেছে বামপন্থি ইসরায়েলিরা।
শপথ নেওয়ার পর পার্লামেন্টে দেওয়া প্রথম ভাষণে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানান, আরব-ইসরায়েলি সংঘাত হবে তার প্রধান অগ্রাধিকার। পাশাপাশি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করতে ও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতেও তিনি কাজ করবেন বলে জানান।
নেতানিয়াহুর শপথ নেওয়ার মধ্য দিয়ে ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে মুক্তি পেল ইসরায়েল। গত চার বছরে সেখানে পাঁচ বার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।