প্রেসিডেন্ট পালাতেই শ্রীলঙ্কায় জারি হলো জরুরি অবস্থা
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে পালিয়ে আপাতত মালদ্বীপে। লঙ্কায় আজ বুধবার সকাল থেকে আবার নতুন করে জনরোষের ছবি সামনে আসছে। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘিরে ফেলেছে সেনাবাহিনী। এমন পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে জারি হয়ে গেছে জরুরি অবস্থা। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। রয়টার্স বলছে—জরুরি অবস্থার ঘোষণার ফলে চলমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দেশটিকে আরও বিক্ষোভের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
বিক্রমাসিংহের গণমাধ্যম বিষয়ক সচিব দিনুক কলম্বেজ বলেছেন, ‘ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রধানমন্ত্রী (দেশব্যাপী) জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন এবং পশ্চিম প্রদেশে কারফিউ জারি করেছেন।’
নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকট ও গণআন্দোলনের মধ্যেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে। মঙ্গলবার (১২ জুলাই) দিনগত রাতে একটি সামরিক বিমানে করে মালদ্বীপে পাড়ি জমান তিনি।
এরপরই বিজয় উদ্যাপনে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর রাস্তায় নেমে এসেছেন দেশটির মানুষ। আজ বুধবার (১৩ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিসিসি জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কায় ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কলম্বোর কেন্দ্রস্থলে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। অনেকেই শহরের প্রধান প্রতিবাদস্থল বলে পরিচিত গল ফেস গ্রিন-এ জমায়েত হয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট গোটাবায়ার পালানোর খবর প্রকাশ পেতেই হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নামেন। তাঁরা পার্লামেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের উদ্দেশে মিছিল বের করেন। তবে, পার্লামেন্টের ২০০ মিটার আগেই তাঁদের আটকে দেয় সেনাবাহিনী। প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবি তোলেন বিক্ষোভকারীরা। শুধু তা-ই নয়, প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসংঘেরও পদত্যাগের দাবি তুলেছেন তাঁরা। আজই প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করলে পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
এদিকে, বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘিরে ফেলতেই সেনাবাহনী ও পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া হয়, সঙ্গে লাঠিপেটাও করা হয়। কিন্তু, তাতেও বিক্ষোভকারীদের আটকানো যায়নি। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দেয়াল টপকে বিক্ষোভকারীদের ভিড় ঢুকে পড়ে।