ফিনল্যান্ড-সুইডেনকে ন্যাটোতে যোগদানের আমন্ত্রণ
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে কয়েক দশকের মধ্যে ইউরোপের নিরাপত্তা বলয়ে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটিয়ে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে জোটে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে ন্যাটো। ‘রাশিয়াকে গুরুতর হুমকি’ হিসেবে দেখতেও একমত হয়েছেন ন্যাটো নেতারা।
স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে গত মঙ্গলবার শুরু হয়েছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সম্মেলন। সেখানেই নেতারা এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন। খবর রয়টার্সের।
সম্মেলন থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ন্যাটোর ৩০ মিত্রদেশ মাদ্রিদ সম্মেলনে রাশিয়াকে প্রকাশ্যেই জোটের সদস্যদের নিরাপত্তায় সবচেয়ে গুরুতর এবং সরাসরি হুমকি হিসেবে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং এ ব্যাপারে একমত হয়েছে।’
ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনকে ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত হতে দিতে তুরস্ক রাজি হওয়ার পর জোটের নেতারা এক ঘোষণাপত্রে বলেছেন, ‘আজ আমরা ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনকে ন্যাটোতে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এখন ন্যাটো মিত্রদেশগুলোর পার্লামেন্টে এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষা। এ প্রক্রিয়ায় একবছর লেগে যেতে পারে। তবে একবার অনুমোদন পেয়ে গেলে নর্ডিক এই দেশ দুটি ন্যাটোর যৌথ প্রতিরক্ষা অনুচ্ছেদ ‘আর্টিকেল ৫’ সুরক্ষা পাবে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক রক্ষাকবচে সুরক্ষিত থাকবে।
ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, ‘আমরা ফিনল্যান্ড, সুইডেনসহ সব মিত্রকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করব।’
ফিনল্যান্ড, সুইডেনকে কেবল সুরক্ষা দেওয়াই নয়, নর্ডিক অঞ্চলে সেনা উপস্থিতি বাড়াতেও রাজি হয়েছে ন্যাটো দেশগুলো। ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনকে আশ্বস্ত করতে বাল্টিক সাগরে সামরিক মহড়া এবং নৌবাহিনীর টহল জোরদার করতে রাজি তারা।
ন্যাটোর মহাসচিব স্টলটেনবার্গ বলেছেন, ‘আমরা ন্যাটো রেসপন্স ফোর্সকে রূপান্তর করব এবং উচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা সেনাসংখ্যা ৩ লাখের বেশি বাড়াব।’
ন্যাটো রেসপন্স ফোর্স (এনআরএফ)-এ বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজার সেনা আছে। এই সেনাদের বেশিরভাগই মোতায়েন আছে ন্যাটোর পূর্ব দিকের দেশগুলোতে। স্টলটেনবার্গ বলেছেন, রাশিয়ার কাছ থেকে ইউরোপের নিরাপত্তা সরাসরি হুমকির মুকে পড়ায় সেনাসংখ্যা বাড়ানোর এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।