বাতৌতির অনুপ্রেরণায় ৯/১১ হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন লাদেন

২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার, পেন্টাগন এবং পেনসিলভানিয়ায় সন্দেহভাজন আল-কায়েদার হামলায় প্রাণ হারান প্রায় তিন হাজার মানুষ। এই হামলার জন্য আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে দায়ী করেছিল মার্কিন প্রশাসন।
অবাক করা বিষয় হলো এক মিসরের নাগরিকের কাছে থেকে এ হামলার প্রেরণা পেয়েছিলেন বিন লাদেন। ১৯৯৯ সালে মিসরের একটি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ হিসেবে যখন সহকারী পাইলট গামেল আল-বাতৌতির আত্মঘাতী হামলাকে দায়ী করা হচ্ছিল, ঠিক সেই সময় সন্ত্রাসী হামলার উৎসাহ পেয়ে যান লাদেন। নিজেদের সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘আল মাসারা’-তে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ দাবি করেছিল আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট সংগঠন আনসার আল-শারিয়া। আল মাসারার বরাত দিয়ে খবরটি প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক পোস্ট ও দ্য ইনডিপেনডেন্ট।
আনসার আল-শরিয়া জানায়, বাতৌতি ২১৭ জন আরোহী নিয়ে লস অ্যাঞ্জেলস থেকে কায়রো যাওয়ার পথে ইচ্ছে করেই ইজিপ্ট এয়ার ফ্লাইট ৯৯০ বিধ্বস্ত করেন। যাত্রীদের অর্ধেকই ছিলেন মার্কিন নাগরিক।

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয় বলে সে সময় দাবি করেন মিসরীয় তদন্তকারীরা। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পরিবহনবিষয়ক নিরাপত্তা বোর্ডের তরফে দাবি করা হয়, সহকারী পাইলট গামেল আল-বাতৌতি ইচ্ছে করেই বিমানটি বিধ্বস্ত করেছেন। তবে মার্কিন তদন্তকারীদের সে অভিযোগ নাকচ করে দেয় বাতৌতির পরিবার।
বাতৌতির বিমান বিধ্বস্তের কারণ নিয়ে যখন এমন বিতর্ক চলছিল তখন নাকি আল-কায়েদা নেতা লাদেনের মাথায় খেলছিল ভিন্ন চিন্তা। আল-মাসরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ওই সময় লাদেন সহযোগীদের জিজ্ঞেস করছিলেন, ‘আচ্ছা, ও কোনো ভবনে বিমানটি বিধ্বস্ত করল না কেন?’
আর তখন থেকেই নাইন ইলেভেন হামলার পরিকল্পনার উৎপত্তি বলে দাবি করেছে আনসার আল-শরিয়া। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ব্যবহার করে হামলার পরিকল্পনাটি খালিদ শেখ মোহাম্মদের ছিল বলে দাবি করেছে সংগঠনটি।
আনসার আল-শরিয়া জানায়, লাদেন আর খালিদ যেসব সহযোগীদের পাসপোর্ট আছে তাদের ডেকে পাঠান। এরপর বিমান চালনার প্রশিক্ষণ নিতে তাদের যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়।