বাস্তবে রূপ নিলো ‘থ্রি ইডিয়টসের’ কাহিনী
উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয় ‘থ্রি ইডিয়টস’। সিনেমাটি বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিল। রাজকুমার হিরানি পরিচালিত ছবিটি মুক্তি পায় ২০০৯ সালে। এটি কেবল ব্যবসাসফলই হয়নি, পরিণত হয়েছে ভারতের তরুণদের অন্যতম পছন্দের চলচ্চিত্রে। মুক্তির এক যুগের বেশি সময় পরও তাই থ্রি ইডিয়টস নিয়ে কথা হয়।
আমির খান ও কারিনা কাপুর অভিনীত ছবিটির একটি অংশে ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের মাধ্যমে তৈরিকৃত একটি যন্ত্রের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করানো হয়। যেখানে, ভিডিও কলের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন চিকিৎসকরাও। সিনেমাটির সেই অংশ এবার বাস্তবে রূপ নিয়েছে। তাও আবার ঘটেছে ভারতেই। ভিডিও কলের মাধ্যমে ডেলিভারির নেতৃত্ব দিয়েছেন চিকিৎসক। এক প্রতিবেদনে এমনটিই জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, সর্বশেষ কয়েকদিনের ভারী তুষারপাতে কাশ্মীরের যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় অচল। এরই মধ্যে কুপওয়াড়া জেলার প্রত্যন্ত এলাকা কেরানে এক নারীর প্রসব বেদনা উঠে, যার কি না আগে থেকেই বেশকিছু সমস্যা ছিল। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছান তিনি। কিন্তু সেখানে প্রসব করানোর মতো ব্যবস্থা ছিল না।
এমন পরিস্থিতিতে ওই গর্ভবতীকে অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে তাও সম্ভব হয়নি। এমতাবস্থায় শহরের চিকিৎসকদের সাহায্য চান স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীরা। তখন হোয়াটসঅ্যাপের ভিডিও কলেই প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন এক চিকিৎসক। অবশেষে এক সুস্থ সবল সন্তানের জন্ম দেন ওই মা। এই ডেলিভারির নেতৃত্ব দিয়েছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেডিকেল অফিসার ডা. মির মোহাম্মদ শফি।
এই চিকিৎসক বলেন, ‘শুক্রবার রাতে, কেরানের স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে আমার কাছে এক গর্ভবতী নারীর খবর আসে। ওই নারীর এক্লাম্পসিয়া হচ্ছিল। এমনকি সন্তান বের হচ্ছিল না।’
এনডিটিভি বলছে, ওই গর্ভবতীকে জরুরিভাবে হাসপাতালে নেওয়া দরকার ছিল। তবে, তুষারপাতের জন্য তা করা সম্ভব ছিল না। এ জন্য ভিন্ন পথের কথা চিন্তা করতে হয় স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের। পরে ভিডিওকলের মাধ্যমে চিকিৎসককে যুক্ত করে ডেলিভারি সম্পন্ন করা হয়।
ডা. মির মোহাম্মদ শফি, ‘প্রসব ব্যথার ছয় ঘণ্টা পর ওই মা এক মেয়ে শিশুর জন্ম দিয়েছেন। তারা দুজনেই বর্তমানে সুস্থ আছেন।’