বিক্ষোভ দেখে বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছিলেন ট্রাম্প

পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ হোয়াইট হাউস পর্যন্ত চলে এলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসের অভ্যন্তরে সুরক্ষিত বাঙ্কারে নেওয়া হয়েছিল। সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস ও দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, গত শুক্রবার বিক্ষোভকারীরা হোয়াইট হাউস ঘেরাও করলে সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা প্রেসিডেন্টকে ভূগর্ভস্থ কক্ষে নিয়ে যান। এর আগে সন্ত্রাসী হামলার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে মাটির নিচের ওই বাঙ্কারে নেওয়া হয়। ২০০১ সালে নাইন/ইলেভেনের হামলার সময়ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনিকে ওই কক্ষে নেওয়া হয়।
সংবাদমাধ্যম টাইমস জানায়, গত শুক্রবার রাতের অভিজ্ঞতায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন।
গত সোমবার মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে আফ্রিকান-আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েডকে আটককালে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে তাঁর মৃত্যুর প্রতিবাদে দেশব্যাপী হাজার হাজার লোক রাস্তায় বিক্ষোভ করে এবং সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে।
ফ্লয়েডকে আটকের পর এক পুলিশ কর্মকর্তা তাঁকে মাটিতে ফেলে হাঁটু দিয়ে ৯ মিনিট ঘাড় চেপে ধরে রাখেন এবং এতে ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়। এ ঘটনা কৃষ্ণাঙ্গদের বিরুদ্ধে পুলিশের বর্বরতার প্রতীকে পরিণত হয় এবং ব্যাপক প্রতিবাদের সূচনা হয়।
মিনিয়াপোলিসে সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনার জন্য চরম বামদের অভিযুক্ত করে ট্রাম্প বলেছেন, দাঙ্গাকারীরা ফয়েডের স্মৃতির প্রতি অমর্যাদা করেছে।
এদিকে, নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জর্জ ফ্লয়েডের ভাই ফিলোনাইজ ফ্লয়েড ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথায় ন্যায়বিচারের দাবি জানাতে পারলেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁকে কোনো কথাই বলতে দেননি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
গণমাধ্যমকে ফিলোনাইজ ফ্লয়েড বলেন, ‘ট্রাম্প একনাগাড়ে বলে গেছেন শুধু, আমাকে কোনো কথা বলার সুযোগই দেননি।’