বিদেশ সফরে প্রাইভেট বিমানে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী, খরচ ৫ লাখের বেশি ইউরো
ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিদেশে সফরে যাচ্ছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। এ জন্য প্রাইভেট বিমানের ব্যবহার করেছেন তিনি। এতে খরচ হয়েছে পাঁচ লাখ ইউরো। আর এই সব অর্থই সাধারণ মানুষের করের টাকা। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য মিররের বরাতে আজ শুক্রবার (৩১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাতে দ্য মিরর বলছে, গত বছর মিসর, ইন্দোনেশিয়া, লাটভিয়া ও এস্তোনিয়ায় গিয়েছেন ঋষি সুনাক। এসব সফরে প্রাইভেট বিমানের ব্যবহার করেছেন তিনি। বিমান বাবদ খরচ হয়েছে পাঁচ লাখ ১২ হাজার ৩২১ ইউরো।
গত বছরের ৬ নভেম্বর জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৭-এ যোগ দিতে মিশরে যান যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী। আর ফিরেন যাওয়ার পরদিনই। প্রধানমন্ত্রীর যাতায়াতের জন্য ব্যবস্থা করা হয় প্রাইভেট বিমানের। এতে খরচ হয় এক লাখ সাত হাজার ৯৬৬ ইউরো। আর ঋষি সুনাকের বিসাসহ ব্যক্তিগত খরচ বাবদ সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হয়েছে তিন হাজার ৪৮৩ ইউরো।
মিশর থেকে ফেরার পরের সপ্তাহেই জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে যান ঋষি। পাঁচদিনের এই সফরে ব্যক্তিগত বিমান বাবদ যুক্তরাজ্য সরকারের ব্যয় হয়েছে তিন লাখ ৪১ হাজার ৮৫৭ ইউরো। আর এই সফরে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত খরচ বাবদ খরচ হয়েছে ১১ হাজার ২০৪ ইউরো।
গত ডিসেম্বরের লাটভিয়া ও এস্তোনিয়ায় যান যুক্তরাজ্যের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। এই সফরে ব্যক্তিগত বিমান বাবদ খরচ হয় ৬২ হাজার ৪৯৮ ইউরো। আর ব্যক্তিগত খরচ হয় দুই হাজার ৫০০ ইউরো।
এদিকে, প্রাইভেট বিমানে সফরের জন্য সমালোচনা করছে ঋষি বিরোধীরা। তারা বলছে, খরচের দিক থেকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী স্পর্শের বাইরে। গ্রিন ইস্যুতে নেতৃত্ব দিতে অক্ষম তিনি।
যুক্তরাজ্যের লিবারেল ডেমোক্র্যাট পার্টির জলবায়ুবিষয়ক মুখপাত্র ওয়েরা হবহাউস বলেন, ‘দেশের মানুষ তাদের বিল পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে। এ সময়েই এমন একটি চমকপ্রদ তথ্য সামনে এসেছে। করদাতাদের অর্থের ব্যবহারে রক্ষণশীল সরকার সম্পূর্ণভাবে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।’