বেসরকারি ব্যবসার জন্য অর্থনীতি উন্মুক্ত করে দিচ্ছে কিউবা
কমিউনিস্ট মতাদর্শে পরিচালিত কিউবার অর্থনীতি উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। মহামারি নভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপে সৃষ্ট স্থবিরতা মোকাবিলায় রাষ্ট্রমালিকানাধীন অর্থনীতিতে বড় ধরনের সংস্কার স্বরূপ বেশির ভাগ বাণিজ্য খাতে ব্যক্তি মালিকানায় ব্যবসার অনুমোদনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কিউবায় ১২৭টি বেসরকারি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এবার দুই হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। হাতেগোনা অল্প কয়েকটি খাত সরকারের হাতে থাকবে। দেশটির শ্রমমন্ত্রী মার্তা এলেনা ফেইতো এসব কথা জানান।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এবং মহামারি করোনার উপর্যুপরি আঘাতে নাজুক অবস্থায় পড়েছে কিউবার অর্থনীতি। গত বছর ১১ শতাংশ অবনতি হয়েছে। ৪০ শতাংশ পর্যটন নির্ভর অর্থনীতির দেশ কিউবায় তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে শোচনীয় পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।
এক কোটি ১৩ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যেরও সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
শুধু ১২৪টি প্রতিষ্ঠান সরকারের হাতে থাকবে বলে জানান শ্রমমন্ত্রী মার্তা এলেনা ফেইতো। তবে সেগুলো কোন কোন প্রতিষ্ঠান তা জানাননি তিনি। তবে সংবাদ সংস্থা এএফপি বলেছে, সংবাদমাধ্যম, স্বাস্থ্য সেবা ও প্রতিরক্ষা খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো হয়ত সরকারের নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে।
উৎপাদনশীলতা বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করে শ্রমমন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকারি খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে এই সংস্কার আনা হচ্ছে।’
প্রায় ৬০ বছর ধরে চলে আসা মার্কিন-কিউবা শীতল সম্পর্ক কিছুটা উষ্ণ করতে চেয়েছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তাঁর আমলে কিউবার নেতা রাউল ক্যাস্ত্রোর সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ঐক্যমতে পৌঁছান। মার্কিনিদের জন্য দেশটিতে ভ্রমণের অনুমোদনও দেন ওবামা। পরে ট্রাম্প প্রশাসন সেসব প্রচেষ্টা মাটিচাপা দেন।
নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এর আগে কিউবার সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনের আভাস দেন।