যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আরও সহায়তা চায় মিয়ানমারের জান্তা বিরোধীরা
মিয়ানমারে সামরিক সরকারের ক্ষমতা দখলের দুই বছর অতিবাহিত হয়েছে। এখনও গণতন্ত্রপন্থীরা দেশটির জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এবার জান্তা বিরোধীরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আরও আর্থিক সহায়তা চেয়েছে। একইসঙ্গে জান্তা সরকারের দায়িত্বে থাকাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে তারা।
আজ শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছেন রয়টার্স।
প্রতিবেদনে লন্ডন ভিত্তিক সংবাদ সংস্থাটি জানায়, মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থীরা চায়, যুক্তরাষ্ট্র জান্তার বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালী নিষেধাজ্ঞা জারি করুক। একইসঙ্গে তারা আর্থিক অনুদান বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছে। মিয়ানমারের প্যারারাল সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব তথ্য জানিয়েছে।
দীর্ঘ পাঁচ বছর গণতান্ত্রিক সরকারের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করার পর ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত অং সান সু চির দলকে সরকার থেকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। ক্ষমতাচ্যুত আইনপ্রণেতারা মিলে মিয়ানমারের সিভিলিয়ানদের প্রতিনিধি হিসেবে ২০২১ সালের ১৬ এপ্রিল জান্তা সরকারের প্যারালাল একটি সরকার গঠন করে, যার নাম দেওয়া হয় ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট অব মিয়ানমার’ (এনইউজি)।
এক সপ্তাহের সফরে বর্তমানে ওয়াশিংটন সফরে রয়েছে এনইউজি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন মার। বাইডেন প্রশাসনসহ কংগ্রেসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।
জান্তা সরকার ক্ষমতা দখলের পর থেকেই দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। জান্তা সরকারের ক্ষমতা দখলের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে গত ৩১ জানুয়ারি সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞা দেয় তারা। নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে সঙ্গে জান্তা বিরোধীদের গেরিলা বাহিনী গঠনের জন্য আহ্বান জানায়।
এই সপ্তাহেই ওয়াশিংটনে কার্যালয় চালু করতে যাচ্ছে এনইউজি সরকার। সেই কার্যালয়ে থেকে রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে জিন মার বলেন, ‘আগের নিষেধাজ্ঞাগুলো তাদের জন্য যথেষ্ট নয়। আমরা আরও নিষেধাজ্ঞার দাবি জানাচ্ছি।’
অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরও দেওয়া উচিত জানিয়ে জিন মার বলেন, ‘মিয়ানমারের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত তেল ও গ্যাস করপোরেশনগুলোর ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া দরকার। এগুলো থেকেই বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করছে জান্তারা। এমনটা হলে বৈদেশিক মুদ্রার একটি বড় উৎস বন্ধ হবে।’
গত মাসে ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ছিল সরকার নিয়ন্ত্রিত জ্বালানি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতনরা। তবে এতে কোনো সুফল হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জিন। তিনি বলেন, ‘ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে লাভ নেই, দিতে হবে কোম্পানির বিরুদ্ধে।’