সংঘাত নিয়ে ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে নতুন আলোচনা
ইউক্রেন বলেছে, চলমান সংঘাত নিয়ে কিয়েভ ও মস্কোর আলোচকদের মধ্যে দ্বিতীয় দফার আলোচনা আজ সোমবার থেকে তুরস্কে শুরু হবে। রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের এক মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরপরই এমন কথা জানানো হলো।
বার্তা সংস্থা এএফপি’র বরাতে সংবাদ সংস্থা বাসস এ খবর জানিয়েছে।
ইউক্রেনের আলোচক ও রাজনীতিবিদ ডেভিড আরাখামিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে লিখেছেন, রোববার আরেক দফা ভিডিও আলোচনা চলাকালে তাঁরা ২৮ থেকে ৩০ মার্চ তুরস্কে দুই দেশের প্রতিনিধি দলের মধ্যে সরাসরি আলোচনা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
অন্যদিকে, চলমান সংঘাত নিরসনে নেতৃত্ব দেওয়া রাশিয়ার আলোচক ভ্লাদিমির মেডিনস্কি ইউক্রেনের সঙ্গে আসন্ন আলোচনার খবর নিশ্চিত করলেও সামান্য সময়ের ব্যবধানের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তাঁরা মঙ্গলবার আলোচনা শুরু করে বুধবার শেষ করবেন।
রাশিয়া ও ইউক্রেন তাদের শীর্ষ পর্যায়ের প্রথম দফার আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জনে ব্যর্থ হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে মস্কোর ইউক্রেন আগ্রাসন শুরুর পর তারা এ আলোচনা করে।
ওই সময় উভয়পক্ষ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নিয়মিত আলোচনা করলেও এতে তেমন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়নি। উভয়পক্ষ এ প্রচেষ্টাকে কঠিন হিসেবে বর্ণনা করে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এ সপ্তাহে বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন আলোচনার ছয়টি পয়েন্টের মধ্যে চারটির বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর, তা হলো—ইউক্রেন ন্যাটোর বাইরে থাকছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার ভাষা ব্যবহার, নিরস্ত্রিকরণ ও নিরাপত্তা নিশ্চয়তা।
এদিকে, ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলাবা গত শুক্রবার বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ‘কোনো ঐক্য’ হয়নি।
এদিকে, নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করে একটি শান্তি চুক্তির ব্যাপারে আলোচনা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেনস্কি। তবে, তিনি বলেছেন—তার আগে কোনো তৃতীয় পক্ষের নিশ্চয়তা থাকতে হবে এবং গণভোট হতে হবে।
রুশ স্বাধীন সাংবাদিকদের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি এমন বক্তব্য দিয়েছেন। এর পরপরই তাঁর সাক্ষাৎকার প্রকাশ না করার ব্যাপারে মস্কো থেকে সতর্কবার্তা এসেছে।