সুইজারল্যান্ডে শান্তি সম্মেলনে চীনকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জেলেনস্কির
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি চীন ও গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোকে আগামী মাসে সুইজারল্যান্ডে একটি শান্তি সম্মেলনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। শুক্রবার (১৭ মে) বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ আহ্বান জানান।
সুইস সরকার ঘোষণা করেছে, তারা জুনের মাঝামাঝি ইউক্রেনের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের শান্তি সম্মেলনের আয়োজন করবে। তবে রাশিয়া এতে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে।
চীনের উপস্থিতি ঘিরে অনিশ্চয়তা রয়েছে উল্লেখ করে সুইস সরকার বলেছে, সম্মেলনের আগে ‘অনেক কাজ’ করতে হবে।
জেলেনস্কি বলেন, চীনা নেতারা বিশ্বাস করেন, ‘যদি রাশিয়া যুদ্ধে হেরে যায়, এটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি বিজয়। এটি পশ্চিমাদের জন্য একটি বিজয় এবং তারা উভয়ের মধ্যে একটি ভারসাম্য খুঁজে পেতে চায়। তবে আমি চাই, চীন শান্তি সম্মেলনে আসুক।’
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই সপ্তাহে আলোচনার জন্য চীন সফর করেন। সেখানে চীন ও রাশিয়ার শীর্ষ নেতারা বিশৃঙ্খল বিশ্বে একটি স্থিতিশীল শক্তি হিসেবে উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক তৈরির ব্যাপারে জোর দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেলেনস্কি এএফপির সঙ্গে এমন মন্তব্য করলেন।
চীন বলেছে, তারা ইউক্রেন সংঘাতে নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে চেয়েছে।
ইউক্রেনে মস্কোর আক্রমণের নিন্দা করতে অস্বীকার করায় চীন সমালোচিত হয়েছে। সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি সুইজারল্যান্ডে গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোর প্রতি প্রতিনিধিদল পাঠাতেও জোরালো আবেদন জানান।
ইউক্রনের প্রেসিডেন্ট বলেন, চীনের মতো ‘বিশ্ব খেলোয়াড়দের’ রাশিয়ার ওপর প্রভাব রয়েছে। এই ধরনের দেশগুলো যত আমাদের পাশে থাকবে, রাশিয়া অগ্রসর হলে তাদের মূল্য চুকাতে হবে।
জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আমরা চাই ন্যায্যতা ও শান্তির সঙ্গে যুদ্ধ শেষ হোক। পশ্চিমারা চাচ্ছে, যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধ শেষ হোক।’
রুশ আগ্রাসনের মুখে খারকিভ থেকে হাজার হাজার লোক পালাতে বাধ্য হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে জেলেনস্কি বলেন, ‘খারকিভের পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে। তবে সেখানে স্থিতিশীলতা নেই।’
সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে বলেন, দেশ রক্ষায় প্রয়োজনের তুলনায় ইউক্রেনের কেবল ২৫ শতাংশ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমাদের ১২০ থেকে ১৩০টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দরকার। তিনি এসব যুদ্ধাস্ত্র দিতে পশ্চিমাদের প্রতি আহ্বান জানান।