সামরিক শক্তিতে কে বেশি এগিয়ে, রাশিয়া না ইউক্রেন?
কয়েক সপ্তাহের প্রবল উত্তেজনা আর যুদ্ধাবস্থার পর, শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেছে রাশিয়া। এতে কোন পক্ষ জয়ী হবে, তা এখন অনেকটাই অস্পষ্ট। কারণ সামরিক খাতে পিছিয়ে থাকলেও, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের প্রত্যক্ষ সমর্থন পাচ্ছে ইউক্রেন। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে এসব তথ্য দেওয়া হয়েছে।
বৈশ্বিক সামরিক সক্ষমতার র্যাংকে রাশিয়ার অবস্থান দ্বিতীয়। অন্যদিকে ইউক্রেনের অবস্থান ২২তম। তবে কিয়েভের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে এ তালিকার শীর্ষে।
সক্রিয় সেনার হিসাবে প্রতিপক্ষ ইউক্রেনের থেকে ৪ গুণেরও বেশি এগিয়ে রাশিয়া। মস্কোর সাড়ে ৮ লাখ সেনার বিপরীতে ইউক্রেনের রয়েছে দুই লাখ। অন্যদিকে রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয় দেশেরই রয়েছে আড়াই লাখ করে রিজার্ভ ফোর্স।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বাজেট যেখানে ১৫ হাজার চারশ কোটি ডলার, সেখানে ইউক্রেনের তা ১৫ ভাগ কম- মাত্র এক হাজার ১৮৭ কোটি ডলার।
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে রয়েছে বিশাল স্থলসীমান্ত। সেখানেও কিয়েভের থেকে বহু এগিয়ে মস্কো। রাশিয়ার ১২ হাজার ৪২০টি ট্যাঙ্কের বিপরীতে ইউক্রেনের রয়েছে দুই হাজার ৫৯৬টি। রুশ বাহিনীর যেখানে ৩০ হাজার ১২২টি সাজোয়া যান রয়েছে, সেখানে ইউক্রেনের ১২ হাজার ৩০৩টি।
জলসীমায়ও রয়েছে রাশিয়ার একক আধিপত্য। দেশটির রয়েছে ৬০৫টি যুদ্ধজাহাজ। অন্যদিকে ইউক্রেনের যুদ্ধজাহাজ ৩৮টি। আর রাশিয়ার একটি এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার থাকলেও নেই ইউক্রেনের। সাবমেরিন শক্তির হিসাবেও বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর রাশিয়া। রুশ নৌবাহিনীর রয়েছে ৭০টি অত্যাধুনিক সাবমেরিন। তবে একটিও নেই ইউক্রেনের।
এ ছাড়াও রাশিয়ার ১৫টি ডেসট্রয়ার এবং ফ্রিগেট রয়েছে ১১টি। বিপরীতে ইউক্রেনের একটি ফ্রিগেট থাকলেও নেই কোন ডেসট্রয়ার।
রাশিয়ার রয়েছে অত্যাধুনিক শক্তি সমৃদ্ধ বিশাল বিমানবাহিনী। দেশটির রয়েছে ৪ হাজার ১৭৩টি বিমান। যার মধ্যে ৭৭২টি যুদ্ধবিমান। অন্যদিকে ইউক্রেনের ৩১৮টি বিমানের মধ্যে যুদ্ধবিমান রয়েছে ৬৯টি। এছাড়াও রাশিয়ার ১৫শ ৪৩টি আর ইউক্রেনের রয়েছে ১১২টি সামরিক হেলিকপ্টার।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, সামরিক খাতে সাধারণ হিসাবে রাশিয়ার থেকে ইউক্রেন পিছিয়ে থাকলেও, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে কিয়েভের পক্ষে। এ কারণে যেকোন মুহূর্তে ঘুরে যেতে পারে যুদ্ধের মোড়।