সিরিয়া নিয়ে আলোচনা শেষে যা বলল রাশিয়া-ইরান-তুরস্ক
বৈষম্য ও পূর্বশর্ত পরিহার করে সিরিয়ার সব জনগোষ্ঠীর প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া, ইরান ও তুরস্ক। দেশগুলো সিরিয়ার স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা ও জাতীয় সংহতি বজায় রাখার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেছে।
সিরিয়া বিষয়ক ‘আস্তানা’ শান্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত বুধবার সন্ধ্যায় ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের মধ্যে ত্রিদেশীয় অনলাইন শীর্ষ সম্মেলন শেষে প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়। সংবাদমাধ্যম পার্স টুডে এ খবর জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সামরিক পথে সিরিয়া সংকটের সমাধান হবে না বরং জাতিসংঘের উদ্যোগে সিরিয়ার সরকার ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে দেশটির চলমান সংকটের সমাধান করতে হবে।
তিন দেশের প্রেসিডেন্টের যৌথ বিবৃতিতে সিরিয়ার অখণ্ডতা দুর্বল করে দেওয়ার লক্ষ্যে পরিচালিত যেকোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা রুখে দেওয়ার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করা হয়। বিবৃতিতে সিরিয়ার জনগণ ও অবকাঠামো রক্ষার লক্ষ্যে যৌথভাবে দেশটিতে তৎপর সব সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে পুরোপুরি নির্মূল করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়। রুহানি, পুতিন ও এরদোয়ান এ পর্যন্ত অর্জিত সমঝোতাগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে সিরিয়ার ইদলিবের চলমান সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানান। তাঁরা সিরিয়ার মানবিক পরিস্থিতি বিশেষ করে দেশটিতে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য প্রকোপের ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এ ছাড়া তিন প্রেসিডেন্ট সিরিয়ায় ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসনকে সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রতি হুমকি এবং অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী বলে মন্তব্য করেন। যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা প্রশমন করতে হলে সিরিয়ায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে।