স্পার্ম দিয়ে সাড়ে পাঁচশর বেশি সন্তানের বাবা, এবার থামতে বললেন আদালত
দেশটির আইন অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১২ পরিবারে ২৫ বার স্পার্ম দিতে পারবে। কিন্তু, এক ব্যক্তি ২০০৭ সাল থেকে দিয়ে আসছে স্পার্ম। একাই স্পার্ম দিয়ে সাড়ে পাঁচশর বেশি সন্তানের বাবা হয়েছেন। অবশেষে তাকে থামতে বললেন আদালত। ঘটনাটি নেদারল্যান্ডের। আজ শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
প্রতিবেদনে ব্রিটিশ গণমাধ্যমটি বলছে, আজ নেদারল্যান্ডের একজন বিচারক সন্দেহভাজন একজনকে স্পার্ম দেওয়া থেকে বিরত থাকার আদেশ দিয়েছেন। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির স্পার্ম দিয়ে ৫৫০-এরও বেশি শিশুর জন্ম হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশটির সর্বশেষ এই প্রজনন কেলেঙ্কারি সবাইকে চমকে দিয়েছে।
নেদারল্যান্ডের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতে সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির নাম বলা হচ্ছে, জনাথন এম (৪১)। স্পার্ম থেকে জন্ম নেওয়া শিশুদের অধিকার রক্ষাকারী একটি সংগঠন ওই ব্যক্তিকে আদালতে নিয়ে যায়। আর জনাথনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তার স্পার্মে জন্ম নেওয়া এক শিশুর মা।
দেশটির ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন অনুযায়ী, একজন স্পার্ম ডোনার সর্বোচ্চ ১২ পরিবারে ২৫ বার স্পার্ম দিতে পারবে। কিন্তু, বিচারক থেরা হেসেলিং জানিয়েছেন, জনাথন স্পার্ম দিয়ে ৫৫০ থেকে ৬০০ সন্তানের বাবা হয়েছেন। নতুন করে আর কোনো পরিবারকে স্পার্ম দিতে নিষেধ করে আজ রায় দিয়েছেন বিচারক।
লিখিত রায়ে থেরা হেসেলিং বলেন, ‘জনাথন সম্ভাব্য কোনো বাবা-মার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে না। যদি তিনি স্পার্ম দিতে থাকেন তাহলে প্রতিবার স্পার্ম দেওয়ার জন্য তাকে এক লাখ ইউরো জরিমানা করা হবে। একইসঙ্গে আরও জরিমানা করা হবে।’
রায়ের পর আদালতে দ্বারস্থ ইভা নামে ওই মা বলেন, ‘আমি আদালতের কাছে কৃতজ্ঞ। স্পার্ম দেওয়া থেকে ওই ব্যক্তিকে বিরত রাখা হয়েছে। তার গণ-স্পার্ম দেওয়া দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ত।’
এই মা বলেন, ‘আমি ডোনারকে বলব, আমাদের স্বার্থকে সম্মান করুন। এই রায় মেনে চলুন।’
গার্ডিয়ান বলছে, জনাথনের শতাধিক শিশু ডাচ ক্লিনিকে জন্মগ্রহণ করেছে। এ ছাড়া বাকি শিশুরা অন্যান্য বেসরকারি ক্লিনিকেও অনেক শিশু জন্ম নিয়েছে। ড্যানিশ ক্লিনিকে সাইরোস নাম ব্যবহার করে তিনি স্পার্ম দিতেন।
হেগের ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট বলছে, আগে স্পার্মের মাধ্যমে কত সন্তান হয়েছে তার, সন্তান প্রত্যাশী বাবা-মার কাছে মিথ্যে বলত জনাথন। নিজ ইচ্ছায় তিনি এমনটি করতেন। জনাথনের স্পার্মে জন্ম নেওয়া শিশুর পরিবারগুলো বর্তমানে বুঝতে পারছে তাদের সন্তানেরা আত্মীয়তার একটি নেটওয়ার্কে জড়িয়ে গেছে।