হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে চমকে দিল চীন
চলতি বছরের অগাস্টে পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এমন একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় চীন, যা লক্ষ্যের দিকে দ্রুতবেগে ছুটে যাওয়ার আগে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করেছিল।
বেইজিংয়ের এমন অস্ত্র বানানোর সক্ষমতা মার্কিন গোয়েন্দাদের রীতিমত ‘চমকে দিয়েছিল’।
গতকাল শনিবার ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস বিষয়টি সম্বন্ধে অবগত কিন্তু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাঁচ জনের বরাত দিয়ে এ কথা জানায় বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, অগাস্টে চীনের সামরিক বাহিনী একটি রকেট উৎক্ষেপণ করেছিল, যাতে থাকা হাইপারসনিক গ্লাইড ভেহিকল পৃথিবীর কক্ষপথের নিচ দিয়ে উড়ে গিয়ে, পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে লক্ষ্যের দিকে দ্রুতবেগে ছুটে যায়। যদিও শেষ পর্যন্ত সেটি লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারেনি, লক্ষ্যের প্রায় দুই ডজন মাইল দূরে গিয়ে পড়ে।
‘চীন হাইপারসনিক অস্ত্রে চমকপ্রদ উন্নতি করেছে এবং তা মার্কিন কর্মকর্তাদের ধারণার চেয়েও যে অনেক বেশি, পরীক্ষাটি তাই দেখিয়েছে,’ বলেছেন গোয়েন্দা তথ্য সম্বন্ধে অবগত কর্মকর্তারা।
এ প্রসঙ্গে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য চেয়ে রোববার রয়টার্স তাদেরকে ফ্যাক্স করলেও তাৎক্ষণিকভাবে তাদের দিক থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
চীনের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়াও হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র বানাচ্ছে। গত মাসে উত্তর কোরিয়াও তাদের বানানো হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর দাবি করেছে।
২০১৯ সালের কুচকাওয়াজে চীন তাদের যে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র দেখিয়েছিল, তার মধ্যেও ডিএফ-১৭ নামে পরিচিত হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছিল। শব্দের চেয়ে পাঁচগুণ বা ঘণ্টায় প্রায় ছয় হাজার ২০০ কিলোমিটার গতিতে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করা অন্য ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর চেয়ে অনেক কঠিন।