হাসপাতালে হামলার বিষয়ে সেনাবাহিনীর কাছে তথ্য চাইবে ক্রেমলিন
ইউক্রেনের অবরুদ্ধ শহর মারিওপোলে একটি শিশু হাসপাতালে বোমা হামলার অভিযোগ উঠেছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার ক্রেমলিন বলেছে, তারা রুশ সেনাবাহিনীর কাছ থেকে এ হামলার ব্যাপারে তথ্য চাইবে। খবর রয়টার্সের।
‘আমরা অবশ্যই আমাদের সামরিক বাহিনীকে জিজ্ঞাসা করব, কারণ সেখানে কী ঘটেছে সে সম্পর্কে আপনার এবং আমার কাছে স্পষ্ট তথ্য নেই,’ ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সামরিক বাহিনী খুব সম্ভবত কিছু তথ্য প্রদান করবে।’
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তুলে দাবি করেন, অস্ত্রবিরতি বলবৎ থাকার পরেও বুধবার রাশিয়ার বিমান বাহিনী মারিওপোলের একটি শিশু হাসপাতালে বোমা হামলা চালিয়ে ধ্বংসস্তূপে রোগীদের কবর রচনা করেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মারিওপোল থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিতে দুই পক্ষের মধ্যে যে অস্ত্রবিরতির সমঝোতা হয়েছিল, তা রাশিয়া লঙ্ঘন করেছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। কিয়েভের দাবি, মারিওপোলের ওই শিশু হাসপাতালে রুশ বিমানের বোমা বর্ষণে নারী ও শিশুরা হতাহত হয়েছে।
মারিওপোল নগর পরিষদ জানিয়েছে, হাসপাতালে কয়েকবার হামলা চালানো হয়। এ ঘটনাকে ‘নিরাপরাধ নাগরিকদের জীবননাশের জন্য সামরিক শক্তির একটি পাশবিক ব্যবহার’ আখ্যা দিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে রাশিয়ার সামরিক অবরোধের মুখে থাকা শহরটিতে পানি ও বিদ্যুৎহীন অবস্থায় থাকা হাজার হাজার নগরবাসীকে শহর থেকে বের করে নেওয়ার বিষয়ে রুশ পক্ষের সঙ্গে ইউক্রেনীয়দের একটি সমঝোতা হওয়ার পরেও এই ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে।
বুধবার রাতে একটি টেলিভিশন ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট প্রশ্ন তোলেন, ‘রাশিয়ান ফেডারেশন, এটা কেমন ধরনের দেশ, যারা প্রসূতিদের হাসপাতাল নিয়েও ভয়ে থাকে, এবং সেগুলো ধ্বংস করে?’
রাশিয়ার ওপর আরও কড়া অবরোধ আরোপের জন্য পশ্চিমাদের প্রতি আহ্বান জানান জেলেনস্কি, যাতে তারা সমঝোতার টেবিলে বসতে বাধ্য হয় এবং ‘এই নিষ্ঠুর যুদ্ধ’ থামায়।
তিনি বলেন, ‘শিশু হাসপাতালে ওপর বোমা বর্ষণ ইউক্রেনের নাগরিকদের ওপর গণহত্যা চালানোর প্রমাণ।’