হিজাবে নিষেধাজ্ঞা ধর্মীয় স্বাধীনতার লঙ্ঘন : যুক্তরাষ্ট্র
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিতর্কে উত্তেজনার পারদ বেড়েছে অনেকটাই। হিজাবের পক্ষে-বিপক্ষে বিক্ষোভ-পাল্টা বিক্ষোভের পর বিষয়টি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত।
এবার কর্ণাটকের হিজাব ইস্যুতে সরব হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বলছে, কর্ণাটকে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরার ওপরে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ধর্মীয় স্বাধীনতার লঙ্ঘন।
শনিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। অবশ্য বাইডেন প্রশাসনের এই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত।
আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ রাশাদ হুসেইন টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় বলেছেন, হিজাবে নিষেধাজ্ঞা (মুসলিম) নারীদের কলঙ্কিত করবে এবং আরও দূরে ঠেলে দেবে। ধর্মীয় স্বাধীনতার মধ্যে একজনের ধর্মীয় পোশাক বেছে নেওয়ার ক্ষমতাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’
হিজাবে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে গত শুক্রবার দেওয়া ওই টুইট বার্তায় তিনি আরও বলেছেন, ‘ধর্মীয় পোশাক পরা বা না পরার বিষয়টি ভারতীয় রাজ্য কর্ণাটকের নির্ধারণ করা উচিত নয়। স্কুল-কলেজে হিজাব পরার ওপরে নিষেধাজ্ঞা মুসলিম ছাত্রীদের ধর্মীয় স্বাধীনতার লঙ্ঘন। একই সঙ্গে এটি নারী ও মেয়েদের কলঙ্কিত করবে এবং আরও দূরে ঠেলে দেবে।’
হিজাব নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের এক কর্মকর্তার এই মন্তব্যের পর শনিবার সরব হয় ভারতের মোদি সরকার। হিজাবকাণ্ডে চলমান বিতর্ক ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় দাবি করে রাশাদ হুসেইনের বক্তব্যকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলেও আখ্যায়িত করে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে বিষয়টি আদালতে মীমাংসার অপেক্ষায় বলেও জানায় দিল্লি।