৩০ এপ্রিল বিদেশি ভ্রমণকারীদের জন্য নিউজিল্যান্ডের সীমান্ত খুলছে
নিউজিল্যান্ড সরকার বেশির ভাগ আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীর জন্য দেশটির সীমান্ত আরও পাঁচ মাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোভিড টিকার পূর্ণাঙ্গ ডোজ নেওয়া সাপেক্ষে আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে নিউজিল্যান্ডে যেতে পারবেন ভ্রমণকারীরা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
গত বছরের মার্চে কোভিড-১৯ আঘাত হানার পর থেকে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সরকার আজ বুধবার সীমান্তে কড়াকড়ি সতর্কভাবে শিথিলের রূপরেখা ঘোষণা করেছে।
ভৌগলিক বিচ্ছিন্নতার পাশাপাশি, ওইসিডি-ভুক্ত (অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ নিউজিল্যান্ড করোনার মহামারিকালে বেশ কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছিল। এর ফলে দেশটি কোভিডের বিস্তার রুখতে সক্ষম হয়। এবং এসব বিধিনিষেধ অন্য অনেক সমকক্ষ দেশের তুলনায় নিউজিল্যান্ডের অর্থনীতি দ্রুততর সময়ে চালু হতে সহায়তা করেছে।
কিন্তু, এ বছরের শুরুর দিকে অত্যন্ত সংক্রামক ডেলটা ভ্যারিয়্যান্টের প্রাদুর্ভাব নিউজিল্যান্ডকে কোভিড মোকাবিলার কৌশলে পরিবর্তন আনতে বাধ্য করে। দেশটির প্রধান শহর অকল্যান্ড এখন টিকা দেওয়ার হার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে বিধিনিষেধ শিথিলের পথের হাঁটছে।
নিউজিল্যান্ডের কোভিড-১৯ তৎপরতা বিষয়কমন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, পূর্ণাঙ্গ ডোজ টিকাপ্রাপ্ত আগামী বছরের ৩০ এপ্রিল থেকে আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের নিউজিল্যান্ডে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাবে।
পূর্ণাঙ্গ ডোজ টিকাপ্রাপ্ত নিউজিল্যান্ডের নাগরিক এবং প্রতিবেশী অস্ট্রেলিয়ায় আবাসিক ভিসাধারীরা ১৬ জানুয়ারি থেকে নিউজিল্যান্ডে ভ্রমণ করতে পারবেন। এবং টিকার এক ডোজপ্রাপ্ত নিউজিল্যান্ডের নাগরিকসহ অন্যান্য দেশের আবাসিক ভিসাধারীরা ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশটিতে যেতে পারবেন।
হিপকিন্স আরও বলেন, ‘বিশ্বের সঙ্গে পুনঃসংযোগের পর্যায়ক্রমিক পদ্ধতিটি সাবধানতার সঙ্গে ঝুঁকি মোকাবিলা নিশ্চিতের সবচেয়ে নিরাপদ পদ্ধতি।’
‘এর মাধ্যমে নিউজিল্যান্ডের ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠী এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর সম্ভাব্য প্রভাব হ্রাস করা সম্ভব হবে’, যোগ করেন হিপকিন্স।