রাতের ফাঁকা বাসে আবার কিশোরীকে ‘গণধর্ষণ’
ভারতে চলন্ত বাসের মধ্যে আবার গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ। দিল্লি, কলকাতার পর এবার কর্ণাটক রাজ্যে সরকারি বাসের মধ্যে ‘গণধর্ষণের’ শিকার হলো ১৫ বছরের এক কিশোরী। কর্ণাটকের হাভেরি জেলার রানেবেন্নুর থেকে উদুপি ফেরার পথে বাসচালক, চালকের সহকারীসহ চারজন মিলে ধর্ষণ করে বলে মামলায় অভিযোগ করেছে কিশোরী।
জানা যায়, গত ৫ জুলাই রাতে কর্ণাটকের উদুপির বাসিন্দা ওই কিশোরী রানেবেন্নুর এলাকায় তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করে বাড়ি ফিরছিল। পথে ফাঁকা বাসে ওই কিশোরী ‘গণধর্ষণের’ শিকার হয়।
পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এরই মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলো বাসচালক ভি আর হীরামঠ (৪৫), তার সহকারী রঘু বাগিদার (৩৫) ও ভি সি কাট্টিগর (৪৫)। একজন সন্দেহভাজন এখনো পলাতক। ঘটনার পর পরই উত্তর-পশ্চিম কর্ণাটকের সড়ক পরিবহন সংস্থা তাদের ওই চার কর্মীকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে।
মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ‘নির্যাতিত’ কিশোরীর আদি বাড়ি কর্ণাটকের বেলাগাভি এলাকায়। তার মা-বাবা পেশায় দিনমজুর হওয়ায় কাজের তাগিদে উদুপিতে এসে থাকতেন। মা-বাবার সঙ্গেই থাকত ওই কিশোরী।
গত ৫ জুলাই রাতে কিশোরী বন্ধুর বাড়ি থেকে সরকারি বাসে চেপে একাই বাড়ি ফিরছিল। রাতে বাস ফাঁকা হতেই চারজন তার ওপর ‘নির্যাতন’ চালায়। তারপর তারা কিশোরীকে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকিও দেয়।
রাতে কিশোরী বাড়ি ফিরে গোটা ঘটনা মা-বাবাকে খুলে বলে। এরপর উদুপি থানায় অভিযোগ করা হয়। পুলিশ কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করে।
উদুপি থানার পরিদর্শক নবীনচন্দ্র যোগী জানান, মামলার পর তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যে বাসে ঘটনাটি ঘটেছে, সেই বাসটিও আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে।