ইরানের সামনে দুটোই পথ ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/07/10/photo-1436547262.jpg)
পরমাণু আলোচনায় ইরানের সামনে এখন দুটো পথ খোলা আছে বলে দেশটিকে সতর্ক করে দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বারবার অবস্থান পরিবর্তনের জন্য অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় চলমান পরমাণু আলোচনা থমকে আছে উল্লেখ করে আজ শুক্রবার দুপুরে ইইউ এর মুখপাত্র এই হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, ইরানের সামনে দুটি পথই খোলা আছে- হয় ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’।
এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভাদ জারিফ উল্টো তাঁদের পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপারে বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধে অবস্থান পরিবর্তনের অভিযোগ তুলে তাদের সমালোচনা করেছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স। ভিয়েনার একটি মসজিদে গতকাল রাতে নামাজ আদায়ের পর ইরানের আল-আলম টিভিকে বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা বেশ কয়েকটি দেশের অবস্থানে পরিবর্তন ও অতিরিক্ত দাবি লক্ষ্য করেছি। পি-৬ গ্রুপের প্রতিটি দেশের অবস্থান ভিন্ন ভিন্ন, যা একটি যৌক্তিক আলোচনাকে আরো কঠিন করে তুলেছে।’
আর আলোচনার ১৪তম দিনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, ‘চিরদিন’ আলোচনার টেবিলে থাকবেন না তিনি। কেরি জানান, সিদ্ধান্ত নেওয়া না হলে তিনি আলোচনার টেবিল থেকে উঠে আসতে প্রস্তুত রয়েছেন। তবে তড়িঘড়ি করে চুক্তি সম্পাদনও উচিত হবে না বলে বিশ্বনেতাদের সতর্ক করে দেন তিনি।
১৩ বছর ধরে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে অচলাবস্থা চলার পর বিশ্বশক্তিগুলো ইরানকে চুক্তির ব্যাপারে রাজি করাতে চাপ বৃদ্ধির চেষ্টা করছে। এর আগে চলতি মাসের শুরুতে রয়টার্স জানিয়েছিল, অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত বিশ্বের পরমাণু শক্তিধর ছয় দেশ ও ইরানের মধ্যে পারমাণবিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে চলা ‘পরমাণু চুক্তি আলোচনা’ শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র মিলে গঠিত সংগঠন পি-৬ ইরানের সঙ্গে এমন একটি চুক্তিতে যেতে চাইছে, যার আওতায় তেহরান অন্তত আগামী ১০ বছর পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে পারবে না। তবে নির্দিষ্ট এই সময়ের পর দেশটি আবার এর পারমাণবিক কর্মসূচি চালাতে পারবে।
২০০৮ সাল থেকে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য কয়েকবারই চূড়ান্ত সময়সীমা পার হয়ে গেছে। নতুন করে আবারও ৭ জুলাই পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানো হয়। এখন চুক্তির জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে পরমাণু শক্তিধর দেশগুলো।