‘আমি অর্ডার বাতিল করায় শীর্ষ ধনীর খেতাব গেল?
কে সবচেয়ে ধনী, এ নিয়ে বিশ্বের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের মধ্যে সব সময় চলে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই। মাঝেমধ্যে এ প্রতিযোগিতা এতই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয় যে মুহূর্তের মধ্যে বদলে যায় ধনীদের তালিকা। গত বৃহস্পতিবার ঘটে এমনটাই।
টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসকে পেছনে ফেলে চার ঘণ্টার জন্য বিশ্বের শীর্ষ ধনীর খেতাব নিজের করে নিয়েছিলেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। কিছু সময়ের ব্যবধানেই সেটি আবার বিল গেটসের দখলে চলে যায়। ফলে আবার শীর্ষ ধনীর তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে চলে যান বেজোস।
মাত্র কয়েক ঘণ্টার শীর্ষ ধনী বেজোসকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে মন্তব্য করেছেন অনেকেই। এদের মধ্যে মজার একটি মন্তব্য করে নজর কেড়েছেন ভারতের পুনে শহরের বাসিন্দা ফেবিন বেনজামিন। ২৫ বছর বয়সী এই সফটওয়্যার প্রকৌশলী মজা করে বলেন, তিনি অ্যামাজন থেকে পণ্যের অর্ডার বাতিলের কারণেই হয়তো বেজোস ধনীর তালিকায় শীর্ষস্থান হারিয়েছেন।
ফেসবুকে ফেবিন লেখেন, ‘এই যে অ্যামাজন, আমি একটি পণ্য অর্ডার করি, এর পর পরই খবর পাই জেফ বেজোস বিশ্বের শীর্ষ ধনী হয়েছেন। কিছুক্ষণ পর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আমি ওই অর্ডার বাতিল করি। এরপর আবার খবর পাই বেজোস ধনীর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে চলে গেছেন। আপনারা কি একটু খতিয়ে দেখবেন আমার অর্ডার বাতিলের কারণেই এসব ঘটল কি না?’
ফেবিনের এই পোস্টটি দেওয়ার আট ঘণ্টার মধ্যে এটি ভাইরাল হয়ে যায়। পোস্টটিতে চার হাজারের বেশি মন্তব্য পড়ে। তিন হাজারের বেশিবার পোস্টটি শেয়ার করা হয়।
ওই ফেসবুক পোস্টে বেশ মজা করে জবাব দেয় অ্যামাজনও। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘প্রিয় ক্রেতা, আমরা সব নথি ঘেঁটে দেখেছি, আর বুঝতে পেরেছি আপনার পণ্য বাতিলের জন্যই এটা হয়েছিল এবং আপনি সেটা ইচ্ছা করেই করেছেন। আপনার এই কাজের জন্য যে মানসিক চাপ, জনহয়রানি ও অপমানের শিকার আমরা হয়েছি, সে কারণে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আমরা আপনার কাছে পাঁচ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করব।’
এতেও অবশ্য অনেক ব্যবহারকারী মজা করে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন।

অনলাইন ডেস্ক