‘গোল্ড কার্ড’ ভিসা চালু করলেন ট্রাম্প, ডলারে মিলবে নাগরিকত্ব
ধনী বিদেশিদের জন্য দ্রুত প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বা ‘গোল্ড কার্ড’ কর্মসূচি চালু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরজন্য গুনতে হবে কমপক্ষে ১ মিলিয়ন ডলার (১২ কোটি ১৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা প্রায়)।
স্থানীয় সময় বুধবার (১০ ডিসেম্বর) নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, এই কার্ডের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করা যোগ্য ব্যক্তিরা ‘নাগরিকত্বের সরাসরি পথ’ পাবেন। এর ফলে আমেরিকান কোম্পানিগুলো তাদের অমূল্য মেধাবীদের ধরে রাখতে পারবে। খবর বিবিসির।
‘ট্রাম্প গোল্ড কার্ড’ নামে পরিচিত এই ভিসাটি তাদের দেওয়া হবে যারা দেশের জন্য ‘উল্লেখযোগ্য সুবিধা’ প্রদান করতে পারবেন। কর্মসূচির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট অনুযায়ী, দ্রুত সময়ের মধ্যে মার্কিন স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেতে হলে আবেদনকারীকে ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি অনুদান দিতে হবে, যা প্রমাণ করবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উপকারী হবেন। এছাড়া ১৫ হাজার ডলারের (অফেরতযোগ্য) প্রক্রিয়াকরণ ফি দিতে হবে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মীদের স্পন্সর করতে চাইলে তাদের প্রতি কর্মীর জন্য ২ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিতে হবে।
ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেন, এই কার্ডটি উচ্চ-স্তরের পেশাদারদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। যারা এই অর্থ প্রদান করতে পারবেন, তারা ‘কর্মসংস্থান তৈরি করবেন।’ তিনি ৫ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে বিশেষ কর সুবিধাসহ একটি ‘প্ল্যাটিনাম’ কার্ডের সংস্করণও আনার কথা জানিয়েছেন।
তবে এই কর্মসূচি চালু হওয়ার পর থেকেই ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে সমালোচনা এসেছে। তারা বলছেন, এটি অন্যায্যভাবে ধনী ব্যক্তিদের সুবিধা দেবে। এই নীতি এমন সময়ে এলো যখন ট্রাম্প প্রশাসন অবৈধ অভিবাসীদের নির্বাসন প্রক্রিয়া কঠোর করা এবং দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য এইচ-১বি ভিসার ফি বাড়ানোর মতো অভিবাসন নীতি গ্রহণ করেছে।
গোল্ড কার্ডটি মূলত বিদ্যমান ইবি-৫ ভিসার (যা বিনিয়োগকারীদের গ্রিন কার্ড দেয়) বিকল্প হিসেবে চালু করা হয়েছে, তবে ট্রাম্প মনে করেন এটি গ্রিন কার্ডের চেয়েও বেশি সুবিধা দেবে।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক