পরিবার সিজারিয়ানে রাজি না, অন্তঃসত্ত্বার আত্মহত্যা

ব্যথা সহ্য করতে পারছিলেন না। তাই অস্ত্রোপচারের (সিজারিয়ান) মাধ্যমে শিশুর জন্ম দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরিবার তাতে সায় দেয়নি। হাসপাতাল ভবন থেকে নিচে পড়ে গিয়ে আত্মহত্যা করলেন ওই নারী। তখন তিনি ৪১ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা।
চীনের শানজি প্রদেশে গত ৩১ আগস্ট এ ঘটনা ঘটে। দি ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ওই ঘটনার পরই চীনে অস্ত্রোপচার সংক্রান্ত আইনের কড়াকড়ি নিয়ে সমালোচনা উঠেছে।
২৭ বছর বয়সী ওই নারীর নাম ‘মা’। নারী গর্ভাবস্থায় প্রচণ্ড ব্যথায় ভুগছিলেন। চিকিৎসকরা তাঁকে জানান, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় (সিজারিয়ান ছাড়া) সন্তান জন্ম দেওয়াটা তাঁর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তাঁর স্বজনরা বিষয়টি শোনেন এবং বুঝতেও পারেন। তবে তাঁরা চাইছিলেন অস্ত্রোপচার ছাড়াই স্বাভাবিকভাবে সন্তানের জন্ম হোক। কিন্তু ব্যথায় অস্থির মা অক্ষম হয়ে পড়েছিলেন।
হাসপাতালে স্বজনদের সঙ্গেই এসেছিলেন অন্তঃসত্ত্বা। কিন্তু অস্ত্রোপচার করানোর ব্যাপারে স্বজনরা রাজি হয়নি। হতাশ মা একপর্যায়ে হাসপাতাল থেকে লাফ দিয়ে নিচে পড়ে যান। মা ও তাঁর অনাগত সন্তান উভয়েই ঘটনাস্থলে মারা যান।
তবে মা-এর স্বামী ইয়ান দাবি করেছেন, অস্ত্রোপচার নিয়ে তাঁদের কোনো আপত্তি ছিল না। বরং এ ব্যাপারে পারদর্শী একজনের খোঁজ করছিলেন তাঁরা। কিন্তু এরই মধ্যে মা হাসপাতাল থেকে লাফ দেন।
এক সন্তান নীতি গ্রহণের পর থেকে চীনে অস্ত্রোপচার ছাড়াই সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করছে দেশটির সরকার।