মুসলমানদের পবিত্র কোরআন জমা দিতে বলল চীন!

চীনের জিনজিয়ান প্রদেশের উইঘুর মুসলমানদের উদ্দেশে পবিত্র কোরআন, জায়নামাজ জমা দিতে বলেছে কর্তৃপক্ষ।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত উইঘুর সম্প্রদায়ের নির্বাসিত নেতা দিলসাত রসিতের বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দি ইনডিপেনডেন্ট আজ শুক্রবার এ খবর প্রকাশ করেছে।
দিলসাত জানিয়েছেন, জিনজিয়াং প্রদেশের কর্মকর্তারা সেখানে বসবাসরত উইঘুর মুসলমানদের সতর্ক দিয়ে বলেছেন, ধর্মীয় জিনিসপত্র জমা দিতে হবে, তা না হলে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় রেডিও ফ্রি এশিয়াকে দিলসাত বলেন, ‘আমরা একটি বার্তা পেয়েছি, যেখানে উইঘুর সম্প্রদায়ের প্রত্যেকটি মানুষকে তাদের কোরআনসহ ধর্মীয় নিদর্শন বহন করে, এমন জিনিসপত্র অবশ্যই হস্তান্তর করতে বলা হয়েছে।’
দিলসাত জানান, এই নির্দেশনাটি কাজাখ এবং কিরগিজ মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্যও প্রযোজ্য। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইচ্যাটের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
২০১৬ এবং ২০১৭ সালে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, এই অঞ্চলে বেইজিংয়ের কমিউনিস্ট সরকার অব্যাহতভাবে ধর্মীয় স্বাধীনতার লঙ্ঘন করে যাচ্ছে এবং অনুমোদনহীন ধর্মীয় জমায়েতের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। এ ছাড়া উইঘুর লেখকদের আটকে রাখা হচ্ছে।
২০০৯ সালে উইঘুর ও হান সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং এই উত্তেজনা সহিংসতার দিকে অগ্রসর হয়। চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে চীন সরকারের সঙ্গে বিছিন্নতাবাদীদের দ্বন্দ্বে শত শত মানুষ নিহত হয়।
বেইজিং অবশ্য ইসলামিক জঙ্গিদের ওপর এর দায় চাপিয়েছে। যদিও অধিকার সংগঠনগুলো বলছে, চীন সরকারের দমননীতির প্রতিক্রিয়ার ফল এই সহিংসতা। বিদ্রোহীদের দাবি, ১৯৪৯ সাল থেকে এই অঞ্চলটি অবৈধভাবে দখল করে রাখা হয়েছে।