দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য জাপানের দুঃখ প্রকাশ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের ভূমিকা নিয়ে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। তবে অতীতের এ ভুলের জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নতুন করে আর কোনো দুঃখ প্রকাশ করতে বা ক্ষমা চাইতে বাধ্য নয় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ৭০তম বার্ষিকী উপলক্ষে এক বিবৃতিতে শিনজো আবে এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগের সরকারগুলো যে দুঃখ প্রকাশ করেছে তাই তিনি বজায় রেখেছেন। আগের সে ধারা বজায় রেখে সতর্কপথে চলেছেন তিনি।
শিনজো আবে বলেছেন, তাঁর দেশের যুদ্ধকালীন তৎপরতার কারণে ওই অঞ্চলে ব্যাপক দুঃখ-দুর্দশার জন্য জাপানের অনুতপ্ত বোধ করা উচিত। তবে জাপান যে সে সময় একটা আগ্রাসী যুদ্ধ চালিয়েছিল, এমন বক্তব্য তিনি এড়িয়ে গেছেন।
এদিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বীভৎসতা এখনো তাড়া করে ফিরছে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়াকে। যুদ্ধকালে জাপানের বর্বর দখলদারিত্বে সবচেয়ে বেশি ভুগেছে এ দেশ দুটি। জাপান তাদের কৃতকর্মের জন্য কখনো পুরোপুরি প্রায়শ্চিত্ত করেনি বলে বরাবরই অভিযোগ করে আসছে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া।
যুদ্ধের সময় জাপান নিরীহ মানুষের চরম ক্ষতি এবং দুর্ভোগের কারণ হয়েছে- এ কথা স্বীকার করে নিয়ে আবে বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ওই বীভৎসতা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করলে তিনি নির্বাক হয়ে যান। তাঁর হৃদয় দুঃখভারাক্রান্ত হয়।
আবে আরো বলেন, ‘জাপান বারবারই যুদ্ধের সময়কার কৃতকর্মের জন্য অনুতাপ বোধ করেছে এবং গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে। পূর্ববর্তী সরকারগুলোর পক্ষ থেকে যে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছিল, তা ভবিষ্যতেও অটল থাকবে।’
তবে আবে এও বলেন, বিশ্বের দেশগুলো চিরকাল অতীতের ওই ঘটনার জন্য জাপানের কাছ থেকে ক্ষমা দাবি করে যেতে পারে না।
ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সম্পর্কে আবে বলেন, যুদ্ধপরবর্তী প্রজন্মের সঙ্গে ওই যুদ্ধের কোনো সম্পর্ক নেই। যুদ্ধে তাদের কোনো ভূমিকা ছিল না। এ কারণে দুঃখ প্রকাশের দায় তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যায় না উল্লেখ করে আবে বলেন, তারা ক্ষমা চাইতে বাধ্য নয়।