তুরস্কের সামরিক বিমান বিধ্বস্ত, ২০ সেনা নিহত
জর্জিয়ায় তুরস্কের একটি সামরিক কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়ে বিমানে থাকা ২০ সেনা নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে আঙ্কারা। আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজারবাইজানের গাঞ্জা শহর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর জর্জিয়ার কাখেতি জেলার সিগনাগি এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়াসার গুলার সামাজিক মাধ্যমে নিহত সৈন্যদের ইউনিফর্ম পরা ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আমাদের বীর সহযোদ্ধারা শহীদ হয়েছেন।’
তুরস্কের তদন্ত দল ইতোমধ্যে জর্জিয়ান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে ঘটনাস্থলে কাজ শুরু করেছে। এটি ২০২০ সালের পর তুরস্কের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সামরিক বিমান দুর্ঘটনা বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
জর্জিয়ার বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ‘সাকারিওনাভিগাটসিয়া’ জানিয়েছে, বিমানটি দেশটির আকাশসীমায় প্রবেশের পরপরই রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় এবং কোনো বিপদ সংকেত পাঠায়নি। আজারবাইজানি গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, দুর্ঘটনার পর ধোঁয়ায় আকাশ ঢেকে যায় এবং ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়ে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এক বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ করে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
আজারবাইজান, জর্জিয়া, কাজাখস্তান, কাতার, মিসর, ইরান, ইতালি ও মাল্টাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ও নেতা তুরস্কের প্রতি সংহতি ও সমবেদনা জানিয়েছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তুরস্কে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক এবং ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটে পৃথক বার্তায় নিহত সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। রুটে বলেন, ‘আমরা তাদের সেবাকে সম্মান করি এবং কৃতজ্ঞ যে তারা নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছিলেন।’
এদিকে, মার্কিন বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিন জানিয়েছে, তারা নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে এবং তদন্তে সহযোগিতা করবে।
উল্লেখ্য, সি-১৩০ হারকিউলিস একটি চার ইঞ্জিন বিশিষ্ট টার্বোপ্রপ পরিবহণ বিমান, যা বিশ্বের বহু দেশের সেনাবাহিনী সৈন্য ও মালামাল পরিবহণে ব্যবহার করে থাকে।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক