ব্যাংককে ভয়াবহ বোমা হামলা, নিহত ১৬
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি একটি উপাসনালয়ে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে ১২ জন মারা গেছে বলে স্থানীয় পুলিশের সূত্রে জানিয়েছে রয়টার্স। হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান আরো চারজন। এ ছাড়ায় এ ঘটনায় আরো ৩০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।
ব্যাংককের মধ্য চিদলমের এরাওয়ান এলাকায় হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে সুপরিচিত ব্রহ্মা মন্দিরে স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। পুণ্যর্থী ছাড়া মন্দিরটিতে বিপুল দর্শনার্থীর সমাগম হতো বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
বিবিসির ব্যাংকক কার্যালয়ের প্রধান জনাথন ঘটনাস্থল থেকে জানান, মন্দিরটি ব্যাংককে খুবই সুপরিচিত এবং এটি একটি পাঁচ তারকা হোটেলের পাশে অবস্থিত। বোমা হামলার পর বিপুল মানুষের দেহ এদিক-সেদিক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে দেখেছেন জনাথন। মন্দিরটিতে সন্ধ্যার পরও আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। তিনি মন্তব্য করেন, ব্যাংককের মতো জায়গায় এ রকম বোমা হামলার ঘটনা অকল্পনীয়।
পুলিশের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এটি মোটরসাইকেল বোমা হতে পারে। কারণ হামলার পর মন্দির চত্বরের ভেতরে একটি বিচ্ছিন্ন মোটরসাইকেল পাওয়া গেছে। ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান, বোমা বিস্ফোরণের তীব্রতা এতই শক্তিশালী ছিল যে তা মন্দিরের বাইরের লোকদেরও আঘাত করেছে।
থাইল্যান্ডের পুলিশ বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্রাওয়াত থাভোরনসিরি বলেন, ‘এটি নিশ্চিত একটি বোমা হামলা। আমি জানি না এটি কোন ধরনের বোমা। হামলায় কী ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।’ এছাড়া ওই মন্দিরের কাছেই আরেকটি বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে বলে জানিয়েছে থাই পুলিশ।
ব্যাংককের জরুরি উদ্ধার তৎপরতা কেন্দ্রের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, অন্তত ২৮ জন আহত হয়েছে। তবে আহতদের অবস্থা কতটা গুরুতর তাৎক্ষণিকভাবে তা তিনি জানাতে পারেননি।
টেলিভিশনে প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, আহত কয়েকজন ব্যক্তি রাস্তায় পড়ে আছেন এবং তাঁদের নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স ছুটে আসছে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা হামলাকারীদের সন্ধানে নিকটস্থ ভবনগুলোতে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন।
এর আগে ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি সরকারবিরোধী আন্দোলন চলার সময় এক বোমা বিস্ফোরণে ২৮ জন নিহত হয়েছিল। তবে এশিয়ার অন্যতম শান্তিপূর্ণ দেশটিতে এ ধরনের বোমা হামলা বিরল।