ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাতকে হত্যা করা হয়েছে- এমন সন্দেহে চলমান এক তদন্ত কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন ফ্রান্সের বিচারকরা।ইয়াসির আরাফাতকে তেজস্ক্রিয় পদার্থ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ এনেছিলেন তাঁর স্ত্রী সুহা। সুইজারল্যান্ডের করা পরীক্ষায় ওই দাবির সমর্থন মেলে।

তবে বিচারকদের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ইয়াসির আরাফাতকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগের বিষয়ে কোনো তথ্য-প্রমাণ পাওয়া না যাওয়ায় তাঁরা তাঁদের তদন্ত কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন।

আদালতের সূত্রে রয়টার্স জানায়, ২০০৪ সালের ৮ নভেম্বর একটি স্ট্রোকে ইয়াসির আরাফাত মারা যান। তবে সে সময় তাঁর স্ত্রী কোনো অভিযোগ না আনায় তাঁর কোনো পোস্ট মর্টেম হয়নি।

২০১২ সালে আল-জাজিরা টেলিভিশনের একটি অনুসন্ধানে জানা যায়, সুইজারল্যান্ডের গবেষণায় ফিলিস্তিনের কিংবদন্তি নেতা আরাফাতের লিভারে পোলনিয়াম-২১০ এর অস্বাভাবিক অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এর পরই সুহা আরাফাত তাঁর স্বামীর দেহাবশেষ পরীক্ষার দাবি জানান।

রামাল্লায় ইয়াসির আরাফাতের কবর থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড আর রাশিয়ার তদন্তকারীরা। তবে এর আগে ফ্রান্সের একজন আইনজীবী জানিয়েছিলেন, পোলনিয়ামের ওই অস্তিত্ব প্রাকৃতিক কারণেই ঘটেছে।

তবে ফিলিস্তিনি অনুসন্ধানী দলের প্রধান, তৌফিক তিরাযি বলেছেন, আরাফাতের হত্যাকারীকে চিহ্নিত করতে না পারা পর্যন্ত তাঁরা তাঁদের অনুসন্ধান চালিয়ে যাবেন।