ইন্দোনেশিয়ায় ১৫ বছর ধরে গুহায় বন্দি এক নারী
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/08/08/photo-1533724202.jpg)
ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসিতে ১৫ বছর ধরে গুহায় বন্দি থাকা এক নারীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মাত্র ১৩ বছর বয়সে অপহরণ করার পর থেকে ওই গুহাতেই তাঁকে আটকে রাখা হয় বলে গতকাল মঙ্গলবার বিবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়।
বিবিসি জানায়, গত রোববার সুলাওয়েসির গালুমপাং গ্রামে বিশেষ তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ছোট্ট একটি গুহা থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে। গ্রামের এক ওঝা বিগত ১৫ বছর ধরে তাঁকে ওই গুহায় বন্দি করে রাখে।
জানা যায়, মগজধোলাই করে এক বৃদ্ধ ২০০৩ সালে ১৩ বছর বয়সী কিশোরীকে অপহরণ করেন এবং একযুগেরও বেশি সময় ধরে রাতের পর রাত মেয়েটির ওপরে যৌন নিপীড়ন চালান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইয়াগো নামের ওই ওঝা (৮৩) কালো জাদু, ঝাড়-ফুঁক ও তুকতাকের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
পুলিশ জানায়, ২০০৩ সালে ওই কিশোরীকে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ওই ওঝার কাছে নেয় কিশোরীর পরিবার এবং চিকিৎসার উদ্দেশ্যেই তার কাছে মেয়েটিকে রেখে তারা চলে যায়। ওই বছরেই কোনো এক সময় মেয়েটি নিরুদ্দেশ হয়ে গেলে মেয়েটির পরিবারকে ওঝা জানায় যে, সে কাজ খোঁজার উদ্দেশ্যে জাকার্তায় চলে গেছে।
দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও আত্মীয়স্বজনরা মেয়েটিকে খুঁজে পায়নি।
শেষমেশ গত রোববার হারিয়ে যাওয়া সেই কিশোরীকে খুঁজে পাওয়া গেল গুহায় বন্দি দশায়।
পুলিশের প্রকাশিত আলোকচিত্রে দেখা যায় ওঝার বাড়ির নিকটবর্তী ওই গুহার ভেতর কিছু আসবাবপত্রও আছে।
তলিতলি পুলিশপ্রধান এম ইকবাল আলকুদুসি বলেন, ওঝা রাতের বেলা মেয়েটিকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে আসতেন আর দিনের বেলা বাধ্য করতেন বন্দিশালার সমান ছোটো ওই গুহার ভেতরে থাকতে।
‘তাঁকে সম্ভবত মগজধোলাই করা হয়েছিল, আর জিনের ভয় দেখানো হয়েছিল যাতে সে পালিয়ে না যায় বা অন্য কোনো মানুষের সাথে দেখা না করা, কেননা তাঁকে সবসময় জিন নজরদারি করছে’ বলেন স্থানীয় এক অধিবাসী সুগং।
ওঝার বিরদ্ধে যৌন নিপীড়ন ও শিশু সুরক্ষা আইনে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে অভিযুক্তের ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।