ইউরোপে নতুন যাত্রাপথের সন্ধানে শরণার্থীরা
বন্ধ থাকা হাঙ্গেরি-সার্বিয়া সীমান্তে শত শত অভিবাসনপ্রত্যাশী রাতযাপন করেছেন। এর মধ্যে ইউরোপের উত্তরে প্রবেশের জন্য নতুন যাত্রাপথ খুঁজছেন তাঁরা। সার্বিয়ার সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, শরণার্থী বহনকারী বাসগুলো ক্রোয়েশিয়ার দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পর তাঁরা স্লোভেনিয়া হয়ে অস্ট্রিয়া ও শেষ পর্যন্ত জার্মানি যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
রোমানিয়াও নতুন যাত্রাপথ হতে পারে বলে জানা গেছে। শরণার্থী আশ্রয় দেওয়ার কোটাব্যবস্থা নিয়ে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে তীব্র মতভেদ সৃষ্টি হয়েছে। বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো একমত হতে পারেনি। ফলে শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে ভীষণ অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে।
এর মধ্যে বেশির ভাগ দেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপনসহ কড়া নজরদারি শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট দেশের সীমান্ত পুলিশ শরণার্থীদের প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।
সার্বিয়ার সীমান্তের কাছে খোলা আকাশের নিচে বা অস্থায়ী তাঁবুতে রাতযাপন করেন শরণার্থীরা। এর একদিন আগে হাঙ্গেরি নতুন সীমান্ত আইন কার্যকর করে এবং রেলওয়ে বন্ধ করে দেয়, যে পথ ব্যবহার করছিলেন শরণার্থীরা।
এর মধ্যে একজন সিরীয় শরণার্থী মোহাম্মদ মাহায়ন বলেন, তিনি কাঁটাতারের বেড়া ভেদ করে স্ত্রীকে ওপারে ঢুকিয়ে দিয়েছেন এবং এখন তাঁরা পৃথক হয়ে গেছেন।
অস্ট্রিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, ভিয়েনার দুটি প্রধান স্টেশন অতিরিক্ত শরণার্থীতে ভরে গেছে। এর মধ্যে স্যালজবুর্গের প্রধান স্টেশন হয়তো বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
অস্ট্রিয়ার জননিরাপত্তা বিভাগের মহাপরিচালক কনরাড কগলার বলেন, ‘আমরা আশা করছি, যদি হাঙ্গেরির উদ্যোগ কার্যকর হয়, তাহলে আমাদের নতুন যাত্রাপথ নিয়ে ভাবতে হবে।’
যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে নাগরিকরা ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের পথে চলে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে লিবিয়া, ইরাক, সিরিয়া, তুরস্ক ও বাংলাদেশের নাগরিক রয়েছেন।