তামিল হত্যাকাণ্ডে মদদ, শ্রীলঙ্কার শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা রিমান্ডে

গৃহযুদ্ধ চলাকালে হত্যাকাণ্ডে ইন্ধন জোগানো ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগে শ্রীলঙ্কার চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ রবীন্দ্র বিজেগুনারত্নেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে হাজির হলে বিচারক তাঁর রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, সরকারের সঙ্গে তামিল গোষ্ঠীর লড়াইয়ের শেষ সময়ের দিকে ২০০৮-০৯ সালে ১১ যুবককে গুম করে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক নৌ গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে রক্ষা করেন তিনি। গত নভেম্বরে তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। গতকাল বুধবার আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গতকাল আদালতে তোলার সময় অ্যাডমিরাল বিজেগুনারত্নে সামরিক পোশাকেই ছিলেন। তাঁর চারপাশে ছিলেন নৌ-কর্মকর্তা ও তাঁর সমর্থকরা। আইনজীবীরা আদালতে তাঁর জামিন আবেদন করেন। বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করে তাঁর রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শীর্ষ এই সামরিক কর্মকর্তা। এ ঘটনার খবর সংগ্রহকারী কয়েকজন সাংবাদিকও হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি দেশটির রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে গভীর সংকট দেখা দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট মৈত্রিপালা সিরিসেনা প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে বরখাস্ত করে সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষেকে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেছেন। রাজাপক্ষে শপথ নিয়ে মন্ত্রিপরিষদও গঠন করেছেন।
অন্যদিকে বিক্রমাসিংহে প্রধানমন্ত্রী পদ ছাড়েননি। সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় ভারতপন্থী হিসেবে পরিচিত প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহেকে খুব সহজেই দমাতে পারছেন না চীনাপন্থী হিসেবে পরিচিত প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা।
সরকার ও তামিলদের মধ্যকার ২৬ বছরের যুদ্ধে শেষ দিন পর্যন্ত অন্তত এক লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ২০০৯ সালে এই সংঘাতের অবসান হয়। এখন উভয় দিক থেকেই বর্বরতা চালানোর অভিযোগ করা হয়। মানবাধিকার গ্রুপগুলো এর বিচারের আহ্বান জানিয়ে এলেও তা আলোর মুখ দেখেনি।