দেহরক্ষী যখন রাজরানি

ছিলেন দেহরক্ষী। এখন রাজরানি। কোনো গল্প নয়, বরং এমনটাই ঘটিয়েছেন থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন। বিয়ে করলেন তাঁর দেহরক্ষী সুথিদা তিদজাইকে। আর সেই সঙ্গে ‘রানি’ উপাধিও দিয়েছেন তাঁকে।
আজ বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের রাজ পরিবারের বরাত দিয়ে এ তথ্য দেয় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
রাজ পরিবারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, রাজা ভাজিরালংকর্ন তাঁর দেহরক্ষী দলের উপপ্রধান সুথিদাকে রাজ পরিবারের অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন থেকে রাজ পরিবারে ‘রানি সুথিদা’ হিসেবে সব ধরনের মর্যাদা পাবেন তিনি।
থাইল্যান্ডের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে রাজার ওই বিয়ের অনুষ্ঠানটি দেখানো হয়। সেখানে রাজ পরিবারের সদস্যসহ অন্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
অনেকদিন থেকেই রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন সুথিদা। এ ছাড়া তাঁদের দুজনকে একসঙ্গে অনেকবার জনসমক্ষে দেখা গেছে। তবে তাঁদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক ছিল কি না, তা এর আগে জানা যায়নি।
এর আগে আরো তিনবার বিয়ে করেছিলেন রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন। তবে কোনোটাই টেকেনি। সব মিলিয়ে সাত সন্তানের জনক তিনি।
২০১৪ সালে থাই এয়ারওয়েজের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট পদ থেকে সুথিদা তিদজাইকে দেহরক্ষী বাহিনীর উপপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন রাজা। পরে ২০১৬ সালে তাঁকে পূর্ণ জেনারেলের মর্যাদা দেওয়া হয়।
এর আগে থাইল্যান্ডের রাজা ছিলেন ভুমিবল আদুলিয়াদেজ। ৭০ বছর রাজ্য পরিচালনা করে সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময়ের জন্য রাজা ছিলেন তিনি। ২০১৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন ভুমিবল। এর পরই সিংহাসনে বসেন তাঁর ছেলে মহা ভাজিরালংকর্ন।