১২ বছর গোসল না করেও ঝরঝরে
গবেষণার জন্য বিজ্ঞানীরা কি না করে। বিপজ্জনক গবেষণার জন্য নিজেকে ‘গিনিপিগ’ হিসেবে ব্যবহার করেছেন এমন উদাহরণও আছে ভুরি ভুরি। এই তালিকায় সর্বশেষ অবাক সংযোজন সম্ভবত ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) রাসায়নিক প্রকৌশলবিষয়ের বিজ্ঞানী ডেভিড হোয়টলক।
গরমের সময় ঘোড়া কেন ধুলোয় গড়াগড়ি খায় এমন প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে বিনা গোসলে জীবন কাটানোর পথ বেছে নেন তিনি। গোসল না করার মধ্য দিয়ে ত্বক ভালো রাখার জন্য কল্যাণকর ব্যাকেটেরিয়াকে নিজ ত্বকে ধরে রাখার ব্যবস্থা করা গেছে বলে দাবি করেন বিজ্ঞানী হোয়টলক।
ঘটনার সূত্রপাত ২০০৩ সালের জুনে। সেই সময়ে তার এক বান্ধবী জানতে চেয়েছিলেন, ঘোড়ারা গরমকালে কেন ধুলোয় গড়াগড়ি খায়? হোয়টলকের উত্তর ছিল, ধুলোবালিতে উপকারী কিছু আছে বলেই ঘোড়ারা এই আচরণ করে। কিন্তু তখন তাঁর বান্ধবী এই কথা বিশ্বাস করেননি। আর তাঁর মনেও বিষয়টি জানার আগ্রহ জন্মায়। অবশেষে জানার তাগিদ থেকেই হোয়টলক গোসল না করে কাটিয়ে দিলেন ১২ বছর।
ইনডিপেনডেন্টের কাছে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হোয়টলক জানান, গোসল না করলেও তাঁর ত্বক বেশ ঝরঝরে এবং দুর্গন্ধমুক্ত। কারণ গোসল করার বদলে তিনি ‘মাদার ডার্ট’ নামে ধুলা ও ব্যাকটেরিয়া মিশ্রিত উপাদান শরীরে স্প্রে করেন।
হোয়টলকের দাবি, মানুষের দেহে ধুলোবালি লাগার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ছোট বেলায় আমরা যত সময় বাইরে ধুলোবালিতে কাটিয়ে বড় হয়ে আর তা করি না বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার সঙ্গে দেহকে সব ধরনের জীবাণুমুক্ত করার বিষয়টি এক করে দেখা হয়। কিন্তু এতে ত্বকের প্রাকৃতিক অণুজীবের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়।