মিসরের একটি কারাগারে প্রায় ১৩০ জন বন্দি ছয় সপ্তাহের বেশি সময় ধরে অনশন পালন করে আসছেন। বন্দিদের অমানবিক পরিবেশে রাখা এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ না দেওয়ার প্রতিবাদে তাঁরা এ অনশন পালন করছেন। বুধবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এ কথা জানায়।

সংবাদ সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে জানায়, কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত কায়রোর আল-আকরাব কারাগারে অনশন পালনরত বেশিরভাগ বন্দিকেই  দুবছরের বেশি সময় আগে গ্রেপ্তার করা হয়। এসব বন্দির সঙ্গে তাদের পরিবারের কোনো সদস্যকে বা আইনজীবীদের দেখা করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।

বন্দিদের দেওয়া এক বিবৃতির বরাত দিয়ে অ্যামনেস্টি জানায়, গত ১৭ জুন অনশন ধর্মঘট শুরু করার পর থেকে কর্তৃপক্ষ পাল্টা শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে বন্দিদের প্রহার ও বৈদ্যুতিক শক দেওয়াসহ নানাভাবে নির্যাতন করে।

অ্যামনেস্টির মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকাবিষয়ক সহকারী প্রধান মগদালানা মুঘরাবি বলেন, নোংরা ও অমানবিক পরিবেশে বন্দিদের রাখায় এবং পরিবারের সদস্যদের দেখা করার ও তাঁদের আইনজীবীদের কারাগারে প্রবেশের সুযোগ না দেওয়ায় বন্দিদের জন্য একটি অসহনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

দুই পরিবারের সদস্যরা অ্যামনেস্টিকে জানান, বন্দি আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য তাঁরা সুপ্রিম স্টেট সিকিউরিটি প্রসিকিউশন থেকে অনুমতি আনা সত্ত্বেও কারা কর্তৃপক্ষ দেখা করার সুযোগ দিতে অস্বীকৃতি জানায়।

বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার গ্রুপ মিসরের এমন মানবাধিকার পরিস্থিতির ক্ষেত্রে দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির স্বৈরাচারী সরকারকে দায়ী করে। ২০১৩ সালে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপে কট্টরপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ মুরসি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সিসি ক্ষমতায় আসেন।