বেতন বৈষ্যম্যকে ‘অবিচার’ আখ্যা দিয়ে ধর্মঘটে শ্রীলঙ্কান চিকিৎসকরা

শ্রীলঙ্কা সরকারের বৈষম্যমূলক বেতন ঘোষণাকে ‘অবিচার’ আখ্যায়িত করে তা সমাধানের দাবিতে বুধবার থেকে ২৪ ঘণ্টা ব্যাপী ধর্মঘট পালন করছেন সেদেশের সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
দুবছর আগে শ্রীলঙ্কান সরকার সরকারি আইনজীবী কর্মকর্তাদের অস্বাভাবিকভাবে বেতন বাড়িয়ে দেয়। যা চিকিৎসক ও অন্যান্য পেশাজীবীদের ওপর চরম ‘অবিচার’ বলে দাবি করেন সরকারি মেডিকেল অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি ডা. হরিথা আলুথজ।
তিনি বলেন, ‘বিগত দুবছর ধরে আমরা সরকারকে এই বেতন অসঙ্গতি সমাধান করার আহ্বান জানিয়ে আসছি, কিন্তু এখনও পর্যন্ত এ সমস্যার সমাধানে কোনো ধরনের কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’
ধর্মঘটের কারণে, রাষ্ট্র পরিচালিত হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা কয়েক হাজার রোগী অসুবিধায় পড়েছেন। এসকল হাসপাতালে চিকিৎসকরা শুধুমাত্র জরুরি সেবাগুলো প্রদান করছেন। চিকিৎসা সেবাগুলোকে বেশিরভাগ শ্রীলঙ্কানদের কাছে জনপ্রিয় করে তুলতে সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবা ফ্রি করে দিয়েছে সে দেশের সরকার।
বুধবার সকাল থেকে শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে শেষ হতে যাওয়া ধর্মঘটের কারণে নিয়মিত অস্ত্রোপাচার এবং অন্যান্য চিকিৎসা সেবা দেওয়া বন্ধ রয়েছে।
রাজধানী কলম্বোর অদূরে রাগামার সরকারি হাসপাতালে বুধবার পেট পীড়ার একটি ছোট অপারেশন করতে আসা সামান্থা পেরেরা (৪৯) বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে বাড়িতে চলে যেতে বলেছেন এবং এই সপ্তাহের শেষে এসে আবার সার্জারির জন্য নতুন সময় নিয়ে যেতে বলেছেন।’
‘এটা সত্যিই হতাশাজনক এবং এখন আমাকে আরেকদিন আসতে হবে। সরকার এবং চিকিৎসকদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জন্য রোগীদের সমস্যা পোহাতে হচ্ছে,’ বলেন তিনি।
আলথ্জ বলেন, ‘চিকিৎসকদের সংগঠন শেষ অস্ত্র হিসেবেই ধর্মঘটকে বেছে নিয়েছে এবং জনগণ যে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে তার জন্য সরকারকেই দায় নিতে হবে।’
দেশের প্রধান ক্যান্সার বা শিশু হাসপাতাল, প্রসূতি হাসপাতাল এবং কিডনি রোগীদের চিকিৎসার জন্যে যে সকল বিশেষায়িত হাসপাতাল রয়েছে সেগুলোকে ধর্মঘটের আওতার বাইরে রেখেছে সংগঠনটি।
এ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।