তুর্কি সেনা ও কুর্দি গেরিলাদের মধ্যে লড়াই চলছে, পালাচ্ছে বেসামরিক নাগরিক

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দি গেরিলা গোষ্ঠী এসডিএফ নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে আজ শুক্রবার তৃতীয় দিনের মতো স্থল ও আকাশপথে হামলা চালিয়েছে তুর্কি সেনারা। এর ফলে তুর্কি বাহিনীর সঙ্গে এসডিএফ গেরিলাদের তুমুল লড়াই হচ্ছে। এই লড়াই থেকে প্রাণ বাঁচাতে সিরিয়ার হাজার হাজার কুর্দি জনগোষ্ঠী তাঁদের ভিটেমাটি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন।
সংবাদ সংস্থা পার্স টুডে জানায়, তুর্কি সেনাদের আগ্রাসনের শুরুতে হাতছাড়া হওয়া ১১টি গ্রামের মধ্যে দুটি গ্রামের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করেছে এসডিএফ। লন্ডনভিত্তিক সিরিয়ার কথিত মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, তাল আবিয়াদ ও রাস আল-আইনসহ বিভিন্ন ফ্রন্টে তুর্কি সেনা ও এসডিএফ গেরিলাদের মধ্যে তুমুল লড়াই হচ্ছে।
কুর্দি গেরিলারা ভূগর্ভস্থ টানেল ও পরীখা ব্যবহার করে তুর্কি সেনাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে তুরস্কের বাহিনী জঙ্গিবিমান, কামান ও রকেট ব্যবহার করে সামনে অগ্রসর হচ্ছে।
প্রবল আন্তর্জাতিক বিরোধিতা উপেক্ষা করে গত বুধবার সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুর্কি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১০ কুর্দি বেসামরিক নাগরিক ও ২৯ এসডিএফ গেরিলা নিহত হয়েছে। তুর্কি সেনাদের সহযোগিতাকারী একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীরও ছয় সদস্য নিহত হয়েছে।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আজ শুক্রবার এক সেনার নিহত ও তিন সেনার আহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে। তিনদিন আগে আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এই প্রথম তুরস্ক তার সেনাদের হতাহত হওয়ার কথা স্বীকার করল।
চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে আমেরিকা সিরিয়ার কুর্দি-নিয়ন্ত্রিত সীমান্ত এলাকা থেকে নিজের সেনা সরিয়ে নিয়ে তুরস্ককে এই আগ্রাসন চালানোর সবুজ সংকেত দেয়। এ ঘটনাকে এসডিএফ গেরিলারা আমেরিকার পক্ষ থেকে ‘পেছন থেকে ছুরিকাঘাত’ বলে অভিহিত করেছে।
এতদিন মার্কিন পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার তৎপরতায় নিয়োজিত ছিল এসডিএফ গেরিলারা।