কুর্দি সন্ত্রাসীদের মাথা পিষে ফেলা হবে : এরদোয়ান

উত্তর সিরিয়ায় তুরস্কের পরিকল্পিত নিরাপদ অঞ্চল থেকে সরে না গেলে কুর্দি যোদ্ধাদের ‘মাথা পিষে’ ফেলা হবে বলে মন্তব্য করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
গত বৃহস্পতিবার থেকে তুর্কি সীমান্তবর্তী উত্তর সিরিয়ায় অভিযান পাঁচ দিনের জন্য স্থগিত করেছে তুরস্ক। অভিযানের হামলা বন্ধ রেখে কুর্দিদের সেখান থেকে চলে যেতে এই বিরতি দেওয়া হয়েছে। তবে গতকাল শনিবার দুই পক্ষই একে অপরের বিপক্ষে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ এনেছে। রাস আল-আইন শহরের আশপাশসহ বেশ কিছু এলাকায় সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির ৩৬ ঘণ্টায় কুর্দি যোদ্ধারা ১৪ বার উসকানিমূলক হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে তুরস্কের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধেও চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স (এসডিএফ)।
তুরস্কের মধ্যাঞ্চলীয় কায়সেরি প্রদেশে গতকাল শনিবার এক অনুষ্ঠানে এরদোয়ান বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ কুর্দি যোদ্ধারা সরে না গেলে আমরা যেখান থেকে থেমেছিলাম, সেখান থেকেই শুরু করব এবং কুর্দি সন্ত্রাসীদের মাথা গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।’
সামনের সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। শনিবার তিনি বলেন, এসব আলোচনা কাজে না দিলে ‘তুরস্ক নিজেদের ছক অনুযায়ী কাজ করবে’।
কুর্দি যোদ্ধাদের ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে আসছে তুরস্ক সরকার। নিজেদের সীমান্তবর্তী উত্তর সিরিয়ার অভ্যন্তরে একটি নিরাপদ অঞ্চল সৃষ্টি করতে চাইছে তুরস্ক।
৯ অক্টোবর শুরু হওয়া তুরস্কের অভিযানে ৮৬ জনের প্রাণহানিসহ সহস্রাধিক মানুষ আহত হয়েছে এবং প্রায় তিন লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে শরণার্থী হয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এসব তথ্য দিয়েছে।