সরকার গঠনে ব্যর্থ হলেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু
দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার পর অবশেষে নতুন করে সরকার গঠনে অপারগতা স্বীকার করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এর ফলে নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সামনে সরকার গঠনের সুযোগ সৃষ্টি হলো।
এক দশক ধরে ক্ষমতায় রয়েছেন নেতানিয়াহু। কিন্তু গত মাসে (সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় এককভাবে বিজয়ী হতে ব্যর্থ হন বর্ষীয়ান এ রাজনীতিক। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে নেতানিয়াহুর প্রতিপক্ষ বেনি গান্টজের নীল-সাদা দলকে সরকার গঠন করার আহ্বান জানানো হবে।
নির্বাচনের পর নেতানিয়াহু প্রতিপক্ষ গান্টজের দলকে সঙ্গে নিয়ে জোট সরকার গঠন করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সে চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে সরকার গঠনের প্রয়াস পরিত্যাগ করেছেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন নেতানিয়াহু।
এবার গান্টজকে একই ধরনের সমঝোতা চেষ্টা করার জন্য ২৮ দিন সময় দেবেন বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট রিউভেন রিভলিন।
সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে নেতানিয়াহুর লিকুদ দল ৩২টি আসন ও গান্টজের দল ৩৩টি আসনে বিজয়ী হয়। এর পর ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট জোট সরকার গঠনের জন্য প্রথমে নেতানিয়াহুকে আমন্ত্রণ জানান।
এদিকে নেতানিয়াহুর ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় নীল-সাদা দল বলেছে, ‘এদিক-সেদিক করার দিন শেষ, এখন সময় কার্যকর কিছু করার।’
এদিকে দুটি প্রধান দলকে নিয়ে তথাকথিত একটি জোট সরকারের রূপরেখা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট। এই রূপরেখা কার্যকর হলে গান্টজ হবেন প্রধানমন্ত্রী আর নেতানিয়াহু ক্ষমতায় থাকবেন নামমাত্রে।
মূলধারার রাজনীতিতে নেতানিয়াহুর অভিজ্ঞতা বেশি থাকলেও দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত হয়ে আছেন নেতানিয়াহু। তাই চলতি মাসে একদিকে যেমন জোট সরকার গঠনে দৌড়ঝাঁপ করেছেন, অন্যদিকে অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে শুনানিও দিতে হয়েছে নেতানিয়াহুকে। অ্যাটর্নি জেনারেল শুনানিতে সন্তুষ্ট না হলে নেতানিয়াহু ঘুষ, জালিয়াতি ও বিশ্বাসভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত হতে পারেন।