জাহাজ থেকে তুরস্ককে ‘ভয় দেখিয়েছেন’ রুশ নাবিক!
রুশ নৌবাহিনীর একটি জাহাজ থেকে রকেট লাঞ্চার উচিয়ে ভয় দেখানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বসফরাস প্রণালি দিয়ে তুরস্কের ইস্তাম্বুল পার হওয়ার সময় জাহাজটির এক নাবিক কাঁধে ‘রকেট লাঞ্চার’ নিয়ে তীরের দিকে তাক করেছিলেন। এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক।
রাশিয়ার সংবাদভিত্তিক টিভি চ্যানেল এনটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, শনিবার বসফরাস প্রণালি দিয়ে ইস্তাম্বুল পার হয় রুশ যুদ্ধজাহাজ সিজার কুর্নিকভ। ওই সময় জাহাজের ডেকে এক সেনা সদস্য ও এক কর্মচারী দাঁড়িয়ে আছেন। কর্মচারীটির কাঁধে ছিল রকেট লাঞ্চার। ওই সময় ইস্তাম্বুলের কাছে নোঙর করেছিল কানাডীয়, স্প্যানিশ ও পর্তুগালের পতাকাবাহী ন্যাটোর তিনটি জাহাজ।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু দেশটির হুররিয়েত সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সমুদ্রপথ পার হওয়ার সময় রকেট লাঞ্চার বা এমন কোনো অস্ত্র প্রদর্শন সরাসরি উসকানি। যদি কোনোভাবে মনে হয় এটি হুমকির তবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কৃষ্ণ সাগরে থাকা রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজগুলোর উন্মুক্ত সাগরে বের হওয়ার একমাত্র পথ হলো বসফরাস প্রণালি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের এক চুক্তি অনুযায়ী শান্তিকালীন সব জাহাজকে এই প্রণালি ব্যবহার করতে দিতে বাধ্য তুরস্ক।
তুরস্কের বিদ্যুত ও জ্বালানির অন্যতম জোগানদার রাশিয়া। তাই দীর্ঘদিন দেশ দুটির মধ্যে ভালো সম্পর্ক ছিল। তবে সম্প্রতি বিমান ভূপাতিত করা নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। এরই মধ্যে তুরস্কের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করেছে রাশিয়া। দেশটি থেকে খাবার নেওয়া বন্ধ করা হয়েছে।
সম্প্রতি রাশিয়ার একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে তুরস্ক। প্রায় অর্ধশতাব্দী পর ন্যাটোর কোনো সদস্য রাষ্ট্র রাশিয়ার কোনো বিমান ভূপাতিত করেছে। তুরস্কের দাবি, বিমানটি আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছিল। অপরদিকে, রাশিয়ার দাবি বিমানটি সিরিয়ার আকাশসীমায়ই ছিল। বিমান ভূপাতিতের ঘটনায় একজন রুশ পাইলট মারা যান। ওই ঘটনার পর থেকেই রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যে শীতল সম্পর্ক বিরাজ করছে।