খাওয়াদাওয়ার পর গাছের ধূমপান!

মাংসখেকো গাছ ভেনাস ফ্লাই ট্রাপের কথা নিশ্চয়ই অনেকেরই জানা। প্রকৃতির সেরা মাংসখেকো উদ্ভিদ এই ভেনাস ফ্লাই ট্র্যাপ। আমেরিকার দক্ষিণাঞ্চলে বিশেষ করে ক্যারোলিনায় এ উদ্ভিদগুলো ব্যাপকভাবে পাওয়া যায়।
সাধারণত যেসব এলাকার মাটিতে পুষ্টি উপাদান কম, বিশেষ করে নাইট্রোজেন এবং মাটি ভেজা সেখানে মাংসখেকো এ উদ্ভিদগুলো জন্মাতে দেখা যায়। কারণ মাটি থেকে পুষ্টি না পাওয়ায় এর অভাবটা এগুলো পোকামাকড় খেয়ে মিটিয়ে থাকে। শুধু আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলেই নয়, এশিয়ার কিছু দেশেও এর দেখা মেলে।
এ তো গেল জঙ্গলের রাক্ষুসে ভেনাস ফ্লাই ট্রাপের কথা। এবার একই উদ্ভিদের এক শহুরে ‘অভিবাসীর’ গল্প শোনাই। নিউইয়র্কের চার্লির বাসায় থাকে গাছটি। নাম ‘কার্নিভোরস’। আকারে-আয়তনে হয়তো দক্ষিণ আমেরিকার রাক্ষুসে গাছগুলোর মতো নয় কিন্তু ‘জনপ্রিয়তায়’ কার্নিভোরসের আশপাশে নেই আর কোনো গাছ।
হবেই না কেন! চার্লির গাছটি শুধু মাংসই নয়, খায় বিভিন্ন রকম খাবার। আর কার্নিভোরসের এই কাণ্ডকীর্তি নিয়মিত ইউটিউবে দেখে প্রায় ১০ লাখ মানুষ। ইউটিউবে চার্লির চ্যানেল ‘ক্লুনাটিকে’ গিয়ে দেখা গেছে ওই ভেনাস ফ্লাই ট্র্যাপটি দিব্যি তরমুজ খাচ্ছে, বিভিন্ন রকম মাংস খাচ্ছে আবার খাবার শেষে ধূমপানও করছে!
কার্নিভোরস সম্পর্কে চার্লি ডেইলি মেইলকে জানান, এক বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যানসাসের একটি নার্সারি থেকে তিনি গাছটি নিয়ে আসেন। আনার পর প্রথম কয়েকদিন শুধু মাংসের কিমা খাইয়ে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন এই খুদে গাছটিকে। এরপর তিনি লক্ষ করেন, গাছটি শুধু মাংসই নয় বরং আরো অনেক কিছু খায়। এরপর তিনি গাছটিকে অন্য খাবার খাওয়াতে থাকেন। এভাবেই একসময় তাঁর ‘বন্ধু’ হয়ে যায় ‘কার্নিভোরস’। আর এখন কার্নিভোরসের বন্ধু কেবল তিনি একাই নন। সারা বিশ্বে ১০ লাখের বেশি মানুষ এই মাংসখেকো গাছটির ‘বন্ধুতে’ পরিণত হয়েছে।
চার্লির ভেনাস ফ্লাই ট্রাপের আরো কাণ্ডকীর্তি দেখতে পারেন এখানে।