অভিবাসন নিয়ে পাল্টাপাল্টি সমাবেশে রণক্ষেত্র জার্মানির কোলন
সম্প্রতি অভিবাসীদের মাধ্যমে নারীদের যৌন হয়রানির ঘটনার প্রতিবাদে এবং অভিবাসন কঠোরের দাবিতে জার্মানির কোলন শহরে বিক্ষোভ করেছেন ডানপন্থীরা। গতকাল শনিবার এমন বিক্ষোভের প্রতিবাদে পাল্টা বিক্ষোভ করেছে অভিবাসনের সমর্থকরা। অবশ্য গতকালই যৌন হয়রানির ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিবাসন আইন কঠোরের ইঙ্গিত দিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল।
বিবিসি ও টেলিগ্রাফের খবরে জানা গেছে, ইংরেজি নববর্ষের দিন কোলন শহরে ভিড়ের মধ্যে কয়েকজন নারী অভিবাসী কয়েক ব্যক্তির হাতে যৌন হয়রানির শিকার হন। জানা যায়, যৌন হয়রানিতে অভিযুক্তদের অধিকাংশ আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের অভিবাসী। এ ঘটনার পর থেকেই জার্মানির বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অভিবাসন আইন কঠোর করার দাবি তুলেছেন অনেকে। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের উদার অভিবাসন নীতি নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গতকাল দুপুরে পেগিডা আন্দোলন কর্মীদের নেতৃত্বে ডানপন্থীরা কোলন শহরের কেন্দ্রস্থলে বিক্ষোভ শুরু করে। তাঁরা যৌন হয়রানির প্রতিবাদ ও অভিবাসন কঠোর করার দাবি জানান। তবে এর প্রতিবাদে অভিবাসনের পক্ষেও বিক্ষোভ হয়েছে। এতে অংশ নেওয়া কয়েকজন দাবি করেন, যৌন হয়রানিকে পুঁজি করে ডানপন্থীরা অভিবাসনবিরোধী আন্দোলন উসকে দিচ্ছে। আর পাল্টাপাল্টি এই বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কঠোর অবস্থান নেয়। ত্রিমুখী সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে কোলন শহর। পুলিশ কয়েক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। অবশ্য অভিবাসনের পক্ষে-বিপক্ষে আন্দোলনের আগেই কয়েকশ নারী শোভাযাত্রা করেছে।
অবশ্য গতকালই জার্মান চ্যান্সেলর মেরকেল তাঁর দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটের নেতাদের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছেন। জানা গেছে, অভিবাসন আইন কঠোর করার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। আর এ আইন কঠোর হলে অপরাধকারী অভিবাসীকে সহজেই তাঁর নিজ দেশে ফেরত পাঠানো যাবে।
বিবিসি জানিয়েছে, নববর্ষের দিন যৌন হয়রানির ঘটনার সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনেরও সমালোচনা হয়েছে। শহরের পুলিশপ্রধানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।