দুই বিয়ে আইনের ‘খবরে’ হতবাক ইরিত্রিয়া
ইরিত্রিয়ার প্রতিটি পুরুষকে বাধ্যতামূলকভাবে দুই স্বদেশি নারীকে বিয়ে করতে হবে। এমন একটি খবর আফ্রিকাসহ বিশ্বব্যাপী সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এমন সিদ্ধান্ত বিশ্বব্যাপী নিন্দিত হয়েছে। তবে এমন খবরে আকাশ থেকে পড়েছেন ইরিত্রিয়ার কর্মকর্তারা। আসলে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার।
ইরিত্রিয়ার কর্মকর্তারা বিবিসিকে বলেন, ইরিত্রিয়ার কোনো পাগলও দুই নারীকে বিয়ে বাধ্যতামূলক করার খবর বিশ্বাস করবে না।
মূল খবরে বলা হয়েছিল, ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ইথিওপিয়ার সঙ্গে চলা যুদ্ধে ইরিত্রিয়ায় পুরুষের সংখ্যা কমে গছে। তাই প্রত্যেক ইরিত্রিয় পুরুষ অন্তত দুজন স্বদেশি নারীকে বিয়ে করতে বাধ্য থাকবে। এই আদেশ অমান্যকারীর কারাদণ্ড হতে পারে।
জানা গেছে, ‘ক্রেজি মানডে’ নামক কেনিয়ার একটি সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইটে প্রথম ইরিত্রিয়ায় দুই নারীকে বিয়ে বাধ্যমূলক শীর্ষক খবরটি প্রকাশিত হয়। এরপরই খবরটি ফেসবুক ও টুইটারসহ সব জনপ্রিয় সামাজিকে যোগাযোমাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। টুইটারে অনেকে ইরিত্রিয়া যাওয়ার যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। আবার অনেকে ইরিত্রিয়ার ভিসার আবেদনপত্রের লিংকও শেয়ার করেন।
বিবিসি জানিয়েছে, সাধারণত মুখরোচক ও চটুল সংবাদেই ক্রেজি মানডে ওয়েবসাইটের আগ্রহ। এসব খবরের মাধ্যমে তারা তরুণ পাঠকদের নজরে পড়ার চেষ্টা করে।
জানা গেছে, ভুয়া খবর সত্ত্বেও বিভিন্ন দেশের কিছু সংবাদমাধ্যম এই খবর প্রকাশে বেশ আগ্রহ দেখায়। আফ্রিকার প্রায় সব দেশেরই কিছু সংবাদমাধ্যম ইরিত্রিয়ায় দুই বিয়ের খবরকে সত্য বলে দাবি করে।
ইরিক্রিয়ার তথ্যমন্ত্রী ইয়ামেন জেব্রেমেসকেল এক টুইটার বার্তায় মিথ্যা সংবাদ ছড়িয়ে পড়ায় নিন্দা জানান। আর নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, ইরিত্রিয়ায় মানবাধিকার পরিস্থিতি বেশ খারাপ। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপরও হস্তক্ষেপ করছে দেশটির সরকার। এ কারণে অনেকে ইরিত্রিয়াকে বলেন আফ্রিকার ‘উত্তর কোরিয়া’।