পা ঢাকতে পারবেন ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের কেবিন ক্রুরা
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/02/08/photo-1454934814.jpg)
অনেকদিন ধরেই ব্রিটিশ এয়ারওয়েজে এই নিয়ম চালু ছিল যে, কাজের সময় নারী কেবিন ক্রুরা তাঁদের পা ঢেকে রাখতে পারবেন না। তবে এ নিয়ে সমালোচনা ও অসন্তোষও ছিল অনেক দিন ধরে।
অবশেষে দুই বছরের দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে এই নিয়ম বাতিলের আদেশ দিয়েছেন ব্রিটেনের একটি আদালত। কেবিন ক্রুস ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের এই মামলা চলছিল।
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, কেবিন ক্রুদের ওপর ড্রেস কোড চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। নারী কেবিন ক্রুদেরকে স্কার্ট পরতে বাধ্য করা যাবে না। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের এই ইউনিফর্ম ২০০১ সালে নকশা করেছিলেন জুলিয়েন ম্যাকডোনাল্ড।
এ খবর ফলাও করে ছাপিয়েছে সব ব্রিটিশ গণমাধ্যম। দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজে ২০১০ সালে ‘মিক্সড ফ্লিট’ নামে একটি ক্যাটাগরি তৈরি করা হয়। এই ক্যাটাগরির অধীনে থাকা কেবিন ক্রুদের প্রতি বিভিন্ন নির্দেশনা ও নিয়মকানুন চাপিয়ে দেওয়া হয়। অথচ এর আগে যেসব কর্মী ব্রিটিশ এয়ারওয়েজে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁরা ছিলেন এসব নিয়মের বাইরে।
মিক্সড ফ্লিটের কেবিন ক্রুদের ধর্মীয় বা অসুস্থতাজনিত কোনো কারণ ছাড়া ট্রাউজার পরা নিষেধ ছিল। অর্থাৎ পা ঢেকে রাখা নিষেধ ছিল। এর ফলে নারী কেবিন ক্রুদের কাজের সময় ইউনিফর্ম হিসেবে স্কার্ট পরতে হতো।
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ১৭ হাজার কেবিন ক্রুর মধ্যে তিন হাজার কেবিন ক্রু মিক্সড ফ্লিট টিমের অন্তর্ভুক্ত।
কেবিন ক্রুদের সংগঠন কেবিন ক্রুস ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মিক্সড ফ্লিটের ৮৩ শতাংশ কেবিন ক্রু কাজের সময় ট্রাউজার পরতে চান। কিন্তু এ ব্যাপারে বিধিনিষেধ থাকার কারণে তারা এতদিন নিজেদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্কার্ট পরে কাজ করেছেন।
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একজন মুখপাত্র ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, “আমাদের মিক্সড ফ্লিট টিমের সদস্যরা ‘অ্যাম্বাসাডর’ নামে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের নিজস্ব ইউনিফর্ম পরে থাকেন। ট্রাউজার এই ইউনিফর্মের সঙ্গে মানানসই নয়, তারপরও এখন থেকে কেউ ট্রাউজার পরতে চাইলে সেটা তাদের ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করে নিতে পারবেন।”