ক্ষেপণাস্ত্র ‘ভুল করে’ কিউবায়, ফেরত দিল যুক্তরাষ্ট্রকে

অসাবধানতাবশত কিউবায় চলে যাওয়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রকে ফেরত দিয়েছে কিউবা।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র মার্ক টোনারের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য ক্ষেপণাস্ত্রটি ইউরোপে পাঠানো হচ্ছিল। কিন্তু ভুলবশত সেটি কিউবায় চলে যায়।
মার্ক টোনার বলেন, ‘কিউবা সরকারের সহযোগিতায় ক্ষেপণাস্ত্রটি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে মার্কিন আইন অনুযায়ী এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের বিষয়ে প্রকাশ্যে কথা বলার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না।’
মার্ক টোনার আরো বলেন, ‘কিউবার সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনপ্রতিষ্ঠা এবং হাভানায় পুনরায় দূতাবাস খোলার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কিউবার পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে।’
২০১৪ সাল থেকে কিউবায় ছিল হেলফায়ার মডেলের এই ক্ষেপণাস্ত্র। ভুল করে কিউবায় চলে যাওয়া ক্ষেপণাস্ত্রটির নাম হেলফায়ার ক্যাপটিভ ট্রেনিং মিসাইল। এটি ছিল একটি ডামি ক্ষেপণাস্ত্র, যা প্রশিক্ষণের সময় ব্যবহার করা হতো।
যদিও ক্ষেপণাস্ত্রটি কর্মক্ষম নয়, তবু এটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্রের বিশেষ পদ্ধতি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। যেমন-লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানান, সংবেদনশীলতা ইত্যাদি। তাই এটি যদি কোনো শত্রুর হাতে গিয়ে পড়ে তাহলে কি হতে পারে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা।
সূত্রটি আরো জানিয়েছে, প্রায় এক বছর ধরে কিউবা সরকারের কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি ফেরত আনার চেষ্টা করছিল যুক্তরাষ্ট্র।
হেলফায়ার মূলত আকাশ থেকে মাটিতে ছোড়ার ক্ষেপণাস্ত্র। মূলত হেলিকপ্টার থেকে এটি নিক্ষেপ করা হয়। এ ছাড়া ট্যাঙ্ক ধ্বংস করার জন্যও অনেক সময় তৈরি করা হয় হেলফায়ার। সাম্প্রতিক সময়ে আধুনিকীকরণের মাধ্যমে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ড্রোনেও এটি সংযুক্ত করা হচ্ছে।